কোন্ কোন্ রাজ্যে কতগুলি ডিজিটাল অ্যারেস্টের ঘটনা ঘটেছে, কোন্ রাজ্যে কতগুলি এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে নভেম্বরের ৩ তারিখে।
অনেক ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধ এবং ডিজিটাল অ্যারেস্টের ঘটনা বিদেশ থেকে শুরু হতে পারে। শীর্ষ আদালত সিবিআইকে এই ধরনের অপরাধের তদন্ত করার জন্য একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছে। এখন সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের সংখ্যা, দায়ের করা এফআইআর, এবং যে সমস্ত তদন্ত চলছে, তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। সোমবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এই ধরণের প্রতারণার ঘটনাগুলি বেশিরভাগ মায়ানমার বা তাইল্যান্ড থেকে সংঘটিত হয়ে থাকে। দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, ‘সিবিআইয়ের তদন্তের দিকে আমাদের নজর থাকবে।প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হবে। ‘
বিচারপতি বাগচী এরপর সরকারকে এই তদন্তকারী সংস্থার সক্ষমতা যাচাই করতে বলেন, ‘দয়া করে খুঁজে দেখুন সিবিআই-এর তদন্ত চালানোর রিসোর্স আছে কিনা।’ বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘তাদের যদি সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ দরকার হয়, তারা আমাদের জানাতে পারে।’
জবাবে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘সিবিআই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার অপরাধ দপ্তর থেকে সাহায্য নিচ্ছে।’
এই মাসের শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট ডিজিটাল অ্যারেস্ট অপরাধ সম্পর্কে সুও মোটো পদক্ষেপ করে। প্রতারকরা নাগরিকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী বা বিচারকদের ছদ্মবেশ ধারণ করে, বিশেষ করে বয়স্ক নাগরিকদের নিশানা করে। ১৭ অক্টোবর এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নেয় সুপ্রিম কোর্ট ।
আম্বালার এক প্রবীণ দম্পতির দায়ের করা এক মামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের নাম করে ভুয়ো নোটিস পাঠায় প্রতারকরা। নোটিসে বলা হয়, তাঁরা সিবিআই এবং ইডির তদন্তের আওতায় রয়েছেন। চিঠির সিল এবং সই এতটাই নিখুঁত ছিল যে ওই দম্পতি তার ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হন। খোওয়া যায় ১ কোটিরও বেশি টাকা। এই ঘটনাকে ‘আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থার উপর সরাসরি আঘাত’ – এই ভাষায় বর্ণনা করে সুপ্রিম কোর্ট।