দিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর— ২০০ কোটি টাকার তোলাবাজি মামলায় নতুন মোড়। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখর আদালতের বাইরে মীমাংসার পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মামলার অন্যতম অভিযোগকারিণী অদিতি সিংহকে তিনি ২১৭ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রস্তাব ঘিরে রাজনৈতিক ও আইনি মহলে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
দিল্লির একটি বিশেষ আদালতে দাখিল করা নথিতে সুকেশ দাবি করেছেন, তিনি মামলার নিষ্পত্তির জন্য সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করতে প্রস্তুত। তাঁর বক্তব্য, এই অর্থ দেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের আইনি জটিলতার অবসান ঘটতে পারে। তবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে কি না, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে অদিতি সিংহ এবং তদন্তকারী সংস্থার অবস্থানের উপর।
Advertisement
উল্লেখ্য, অদিতি সিংহ অভিযোগ করেছিলেন, ভয় দেখিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। তদন্তে উঠে আসে, এই আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
Advertisement
আইনি সূত্রের খবর, আদালত এখনও এই প্রস্তাব নিয়ে কোনও চূড়ান্ত অবস্থান নেয়নি। কারণ, তোলাবাজির মতো গুরুতর অপরাধে শুধুমাত্র আর্থিক মীমাংসার ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি করা যায় কি না, তা নিয়ে আইনগত প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে যে, এই প্রস্তাব আদৌ ন্যায়বিচারের স্বার্থে উপযুক্ত কি না।
রাজনৈতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীদের একাংশের দাবি, অর্থের জোরে বড় অভিযুক্তরা যদি আইনি প্রক্রিয়া থেকে রেহাই পায়, তা হলে সাধারণ মানুষের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা ক্ষুণ্ণ হবে। অন্যদিকে, আইনজীবীদের একাংশের মতে, আদালত যদি মনে করে প্রস্তাবটি আইনসম্মত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ সম্মত, তবেই তা বিবেচনা করা যেতে পারে।
এখন সবার নজর আদালতের দিকে। অদিতি সিংহ এই প্রস্তাবে কী সিদ্ধান্ত নেন এবং আদালত ও তদন্তকারী সংস্থা কী অবস্থান নেয়, তার উপরেই এই বহু চর্চিত মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
Advertisement



