১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় বড় সাফল্য পেল আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের একেবারে কাছে অবস্থিত একাধিক উচ্চমূল্যের সম্পত্তি সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তকারী দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সম্পত্তিগুলির বাজারমূল্য কয়েকশো কোটি টাকারও বেশি।
দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, ভারতে হওয়া বৃহৎ অঙ্কের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির টাকা ঘুরপথে বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। সেই অর্থ দিয়েই লন্ডনের অভিজাত এলাকায় এই বিলাসবহুল সম্পত্তিগুলি কেনা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক লেনদেনের নথি, ব্যাঙ্কিং চ্যানেল এবং বিদেশি সংস্থার সঙ্গে হওয়া চুক্তিপত্র খতিয়ে দেখে তদন্তে এই সাফল্য মিলেছে।
Advertisement
তদন্তকারী দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই মামলায় অভিযুক্ত সংস্থাগুলি ভুয়ো নথি দেখিয়ে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেয়। পরে সেই অর্থ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত সেই টাকাই যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কেনার কাজে ব্যবহৃত হয়।’
Advertisement
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ভারতের একাধিক শহরে অভিযুক্তদের অফিস, আবাসন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই মামলায় কয়েকজন শীর্ষ কর্তার বিদেশে পলাতক থাকার তথ্যও তদন্তে উঠে এসেছে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আইনি সহায়তা চুক্তির আওতায় তাদের প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
অর্থনৈতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সহজ কাজ নয়। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াই তদন্তকারী দপ্তরের বড় সাফল্য। এই পদক্ষেপের ফলে অভিযুক্তদের বেআইনি সম্পদের বড় অংশ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তদন্তকারী দপ্তর স্পষ্ট করেছে, মামলার তদন্ত এখনও চলছে। আগামী দিনে আরও সম্পত্তি এবং আর্থিক সম্পদের হদিশ মিলতে পারে। এই ঘটনায় দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে কড়া বার্তা দেওয়া গেল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
Advertisement



