দিল্লি হাইকোর্ট একই মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত আসামীদের সাজা কার্যকরও একই সঙ্গে করতে হবে। নির্ভয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামীর যাবতীয় শেষ আইনি প্রক্রিয়াও এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের ফাঁসি স্থগিতের এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। এদিনই সকালে ফাঁসি স্থগিতের সরকারি আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পরই সরকারি সুপ্রিম কোর্টে তাদের আবেদন দাখিল করেছে।
বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, অপরাধের নৃশংসতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, যা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে ক্ষমার অযােগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে সরকারি ও অন্যান্য সংস্থার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অপরাগতার বিষয়ে আদালত মােটে সন্তুষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়ার পরই সকলের ঘুম ভেঙেছে।
Advertisement
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সংসদে জানিয়েছেন, আসামীদের শীঘ্রই ফাঁসি কার্যকর হবে। আমরা এই জঘন্য অপরাধের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।
Advertisement
সরকারি পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, আসামীরা আইনের শাসন কার্যকর করার ক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে আইনের ফাঁক ফোঁকরগুলি কাজে লাগাচ্ছে তাদের সাজা বিলম্বিত করার জন্যই। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করায় বিলম্বের ফলে সমাজের কাছে এর ভুল বার্তা যাচ্ছে বলেও সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান। কারণ এতে আদালতের সাজা কার্যকর করার অক্ষমতার কথাই প্রকটিত হচ্ছে।
সলিসিটর জেনারেল জানান, হায়দ্রাবাদে পশুচিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের সংঘর্ষে মৃত্যুর সংবাদে মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছিল। এতেই আদালতের বিলম্বিত প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
Advertisement



