• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সেবকে ধস, বোল্ডারের আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি

পাহাড় থেকে আচমকা গড়িয়ে পড়ল একের পর এক বিশালাকৃতি বোল্ডার। মুহূর্তের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে গেল একটি যাত্রিবাহী গাড়ি।

পাহাড় থেকে আচমকা গড়িয়ে পড়ল একের পর এক বিশালাকৃতি বোল্ডার। মুহূর্তের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে গেল একটি যাত্রিবাহী গাড়ি। সোমবার সকালে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বাঘপুলের কাছে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ভাগ্যক্রমে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন গাড়ির চালক সহ ৯ জন যাত্রী।

কালিম্পং থেকে শিলিগুড়িগামী একটি যাত্রীবোঝাই গাড়ি সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ কালিঝোড়া পেরিয়ে সেবকের কাছে পৌঁছাতেই পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে একের পর এক পাথরের চাঁই। গাড়ির চালক পরিস্থিতি আঁচ করে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। ঠিক তার পরপরই কয়েকটি বড় বোল্ডার সজোরে আছড়ে পড়ে গাড়িটির ওপর। ফলে গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Advertisement

ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেবক ফাঁড়ির পুলিশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধার ও ধস সরানোর কাজ। তবে একের পর এক বোল্ডার পড়তে থাকায় সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করা যায়নি। এই ঘটনার জেরে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যানচলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিলিগুড়ি-সিকিম এবং কালিম্পং-শিলিগুড়ির মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। তীব্র যানজটে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ।

Advertisement

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড় থেকে পাথর পড়া বন্ধ না হলে ধস পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। আপাতত বিকল্প পথ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষার সময় এই সড়কে ধস নতুন নয়। বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না বলেই তাঁদের দাবি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ধস সরানোর কাজ চলছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর নেই। তবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে যানচলাচল। পাহাড়ি এলাকায় টানা বৃষ্টির জেরে ফের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

Advertisement