• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফি না দিতে পারায় শিশুকে রাস্তায় নামিয়ে দিল স্কুলবাস

স্কুলবাসের ফি দিতে না পারায় ৫ বছরের শিশুকে ছুটির পর স্কুলবাসে উঠতে দেয়নি বাসচালক। বাসে উঠতে গেলে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। শিশুটি এরপর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির পথে হাঁটতে শুরু করে। পরিচিত কয়েক জনের তা চোখে পড়লে তাঁরাই তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। কেরলের মল্লপুরমের একটি সরকারি স্কুলে এই ঘটনা ঘটার পর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

স্কুলবাসের ফি দিতে না পারায় ৫ বছরের শিশুকে ছুটির পর স্কুলবাসে উঠতে দেয়নি বাসচালক। বাসে উঠতে গেলে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। শিশুটি এরপর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির পথে হাঁটতে শুরু করে। পরিচিত কয়েক জনের তা চোখে পড়লে তাঁরাই তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। কেরলের মল্লপুরমের একটি সরকারি স্কুলে এই ঘটনা ঘটার পর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন শিশুটির বাবা-মা। তাঁরা কেরলের শিক্ষামন্ত্রী সহ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। 

 কেরলের মল্লপুরমের স্কুলটির শিক্ষক এবং কর্মচারীদের রাজ্য সরকার বেতন দিলেও স্কুলের বাকি খরচ বহন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুলেরই ৫ বছরের পড়ুয়ার সঙ্গে এমন অমানবিক কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগ, তাঁরা আর্থিক সমস্যার কারণে গত ২ মাস যাবত স্কুলবাসের ফি দিতে পারেননি। পরিবারের অভিযোগ, সেই অপরাধে ২ দিন আগে শিশুটির সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়। স্কুল ছুটির পর বাসে উঠতে গেলে তাকে উঠতে দেননি বাসচালক। শিশুটির নিরাপত্তার কথা না ভেবেই তাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় বাস। শিশুটির বাবা জানান, এলাকারই কয়েকজন প্রতিবেশী ছেলেকে পিঠে স্কুলব্যাগ নিয়ে একা রাস্তায় হাঁটতে দেখে বাড়িতে পৌঁছে দেন। 
 
যদিও বাসচালকের দাবি, স্কুলের প্রিন্সিপালের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছেন। শিশুর বাবা-মায়ের অভিযোগ, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। স্কুল থেকে বেরিয়েও যেতে বলা হয়। শিশুটি এই ঘটনার পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ওই স্কুলে ছেলেকে আর না পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিশুটির বাবা-মা।
 
যদিও এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে জানা গিয়েছে, কয়েকজন আলাদাভাবে শিশুটির বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।     

Advertisement

Advertisement