• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অন্ধ্রপ্রদেশে পুনরুত্থান চন্দ্রবাবু নাইডুর

অমরাবতী, ৪ জুন –  অন্ধ্রপ্রদেশের মসনদে আবার চন্দ্রবাবুর নাইডুর দল। বিকেল পর্যন্ত ফলাফলে টিডিপি এককভাবে  এগিয়ে ১৩২টি আসনে। সরকার গঠনের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল টিডিপি এবং বিজেপি জোট ৷ বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭ টি আসনে । নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জনসেনা পার্টি ২০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ

অমরাবতী, ৪ জুন –  অন্ধ্রপ্রদেশের মসনদে আবার চন্দ্রবাবুর নাইডুর দল। বিকেল পর্যন্ত ফলাফলে টিডিপি এককভাবে  এগিয়ে ১৩২টি আসনে। সরকার গঠনের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল টিডিপি এবং বিজেপি জোট ৷ বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭ টি আসনে । নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জনসেনা পার্টি ২০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন চন্দ্রবাবু। ওয়াইএসআরসিপি অন্ধ্র প্রদেশে ১৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

পাঁচ বছর আগে ওয়াইএসআরসিপি-র নেতা জগন মোহন রেড্ডির কাছে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে৷ মঙ্গলবারের ফলাফল সেই হারের লজ্জা থেকে মুক্তি দিল অন্ধ্রপ্রদেশের এই বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতাকে৷ এবার ওই  রাজ্যের  বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও জনসেনা পার্টিকে নিয়ে তৈরি তাঁর দলের জোট বিপুল জয় পেতে চলেছে৷ ফলে অন্ধ্রে ক্ষমতায় বসার পথে আবার এগিয়ে চন্দ্রবাবু ৷

Advertisement

সূত্রের খবর, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবন যান।  রাজ্যপালের হাতে এদিনই নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি।  

Advertisement

অন্ধ্র বিধানসভায় আসন সংখ্যা ১৭৫ ৷ এর মধ্যে টিডিপি এগিয়ে ১৩০ টি আসনে ৷ ২০১৪  সালে মাত্র ২৩ টি আসন পেয়েছিল চন্দ্রবাবুর দল ৷ শুধু বিধানসভাই নয়, লোকসভাতেও ওই রাজ্যে টিডিপি ভালো ফল করতে চলেছে। ২৫ টির মধ্যে ১৬ টি আসনে তারা এগিয়ে রয়েছে ৷ জোটসঙ্গী বিজেপি ৩ টিতে ও জনসেনা পার্টি এগিয়ে ২ টিতে ৷

অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর জেলার নারাভারিপল্লিতে ১৯৫০ সালের ২০ এপ্রিল জন্ম হয়  নারা চন্দ্রবাবু নায়ডুর ৷ তিরুপতির শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন৷ তার পর প্রায় চারদশক তিনি রাজনীতিতে রয়েছেন ৷ শুরুর দিকে তিনি কংগ্রেসে ছিলেন৷ অন্ধ্রে কংগ্রেস সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হন৷ পরে তিনি তাঁর শ্বশুর এনটি রামা রাও-এর তৈরি রাজনৈতিক দল টিডিপি-তে যোগদান করেন ৷

১৯৯৫ সালে প্রথমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন চন্দ্রবাবু নায়ডু ৷ তার পর তিনবার ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি ৷ ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন৷ সেই সময় টানা নয় বছর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন৷ দশ বছর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগ হয়ে তেলেঙ্গানা তৈরি হওয়ার পর তিনি তৃতীয়বারের জন্য পুনর্গঠিত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হন৷২০১৯ সালে তিনি জগন মোহন রেড্ডির কাছে হেরে যান ৷

তাঁকে আধুনিক হায়দরাবাদ শহরের রূপকার বলা হয়৷ বিশেষ করে হায়দরাবাদকে হাই-টেক শহরে রূপান্তরিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন৷ প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় দিল্লিতে এনডিএ সরকার তৈরিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ৷ বাজপেয়ী সরকারকে সেই সময় তিনি  বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলেন৷

২০২৩ সালে তাঁকে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে জগনের সরকার৷ তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে সেটাই সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল ৷ প্রায় দু’মাস তিনি জেলে ছিলেন তিনি ৷ জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি তাঁর নতুন রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন৷ বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান,  যোগ দেন এনডিএ-তে ৷ তার পর জনসেনা ও বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে অন্ধ্রের ভোট ময়দানে নামেন তিনি  ৷

বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলে যে ইঙ্গিত মিলেছিল, তার ভিত্তিতে তেলুগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর মত, জয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে এনডিএ ৷ আর সেই সূত্রেই টিডিপি-র হাত ধরে এবার অন্ধ্রপ্রদেশে পালা বদলের ইঙ্গিত মিলেছে। ভোট গণনার ফলাফলও সেই পথেই এগোচ্ছে ৷

Advertisement