• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ভেঙে দেওয়া হোক সব গান্ধি মূর্তি : আইএএস-এর বিতর্কিত ট্যুইট

বিতর্কিত ট্যুইট করে রীতিমতাে বিপদে পড়ে গিয়েছেন বৃহত্তর মুম্বই পুরসভার আধিকারিক নিধি চৌধরি।

আইএএস অফিসার নিধি চৌধরি (Photo: Twitter@nidhichoudhari)

বিতর্কিত ট্যুইট করে রীতিমতাে বিপদে পড়ে গিয়েছেন বৃহত্তর মুম্বই পুরসভার আধিকারিক নিধি চৌধরি। যিনি একজন আইএএস অফিসার। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যাতে করে এই আধিকারিকের চাকরি যায় যায় অবস্থা।

মহাত্মা গান্ধি ও নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট করেছেন এই আধিকারিক। শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি এই আধিকারিককে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত তা না হলে কমপক্ষে সাসপেন্ড করার দাবিতে জোর সওয়াল শুরু করেছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৭ মে। ‘গডসে’ হ্যাস ট্যাগ দিয়ে নিধি একটি টুইট করেন সেই ট্যুইটে তিনি মহাত্মা গান্ধির দেড়শতম জন্মশতবার্ষিকী পালন করার তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন তােলেন।

Advertisement

ট্যুইটে লেখেন দেশে যেখানে যত গান্ধি মূর্তি রয়েছে সেসব ভেঙে দেওয়া হােক। অফিসে ঘরের দেওয়ালে মহাত্মা গান্ধির ছবি টাঙানাে থাকলে তা নামিয়ে ফেলা হােক। এই ট্যুইটের পরেই সরব হয়েছে এনসিপি। এনসিপি নেতা জীতেন্দ্র অঔহাদের দাবি, বরখাস্ত যদি নাও করা হয় যেন এখনই সাসপেন্ড করা হয় এই আধিকারিককে। উনি মহাত্মা গান্ধির আততায়ী নাথুরাম গড়সেকে মহান করে দেখাচ্ছেন আর জাতির জনককে খাটো করছেন এটা মেনে নেওয়া যায় না।

Advertisement

পরিবেশ পরিস্থিতি তাঁর বিরুদ্ধে যাচ্ছে বুঝতে পেরে বিতর্কে জল ঢালতে নিধি চৌধরি অবশ্য টুইটি মুছে দিয়েছেন। এই আধিকারিক সাফাই দিয়ে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি মহাত্মা গান্ধিকে অপমান করতে চাইনি। যারা মহাত্মা গান্ধিকে ছােট করে দেখছেন তাদের ঠাট্টা করতে একথা বলেছিলাম। কিন্তু ওনারা বুঝতে চাইছেন না। সােশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মহাত্মা গান্ধি সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে চলেছেন। এই বছরের জানুয়ারি থেকে সেটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই সব দেখেই আমি ট্যুইট করেছিলাম।’

উল্লেখ্য লােকসভা নির্বাচনের আগে গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ভোপালের জয়ী বিজেপী সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তিনি বলেছিলেন, ‘গডসে একজন। দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশপ্রেমিকই থাকবেন আমাদের কাছে।’ যদিও সেই মন্তব্যের পরে ক্ষমা চান প্রজ্ঞা। অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছেন কমল হাসান। তিনিও বলেছিলেন, স্বাধীন ভারতে প্রথম সন্ত্রাসবাদী গডসে যিনি একজন হিন্দু ছিলেন।

Advertisement