লখনউ বিমানবন্দরে ওষুধে্র বাক্স থেকে মিলল তেজস্ক্রিয় পদার্থ। শনিবার দুপুরে চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো এরিয়াতে এই তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হৈ চৈ পড়ে যায়। এর জেরে দুই কর্মী সংজ্ঞাও হারিয়ে ফেলেন বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিমানবন্দরের যে চত্বরে বাণিজ্যিক জিনিস নামানো হয়, সেই জিনিসগুলি পরীক্ষা করে দেখছিলেন কর্মীরা। সেই সময়েই ওষুধের বাক্স থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার হয়। আর এই তেজস্ক্রিয় উদ্ধার হতেই বিমানবন্দরে হুলুস্থুল পড়ে যায়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার হওয়ার পরই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ডাকা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনডিআরএফ। তবে এই ঘটনার জন্য বিমান পরিষেবা বা বিমানবন্দরের কাজকর্মে কোনও প্রভাব পড়েনি। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হতেই বিমানবন্দরে আতঙ্ক ছড়ি্য়ে পড়ে। গোটা কার্গো এরিয়া খালি করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, তেজস্ক্রিয় পদার্থ লিক হওয়ায় দুই কর্মী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার হয়েছে তাতে প্রাণহানি বা আহত হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তবে কত পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার হয়েছে, তা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়নি।
Advertisement
বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ক্যান্সারের রেডিয়ো অ্যাক্টিভ ওষুধ লিক হয়ে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, রেডিয়ো অ্যাক্টিভ পদার্থ লিক হলে তা ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ক্যান্সারের রেডিয়ো অ্যাক্টিভ ওষুধ লিক করেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুই অসুস্থ কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
Advertisement
গত সপ্তাহেই বিহারের গোপালগঞ্জে ৫০ গ্রাম তেজস্ত্রিয় পদার্থ ক্যালিফোর্নিয়াম-সহ দুই যুবক ধরা পড়েন। পুলিশ সূত্রে খবর, যার এক গ্রামের দাম ১৫ কোটি টাকা। সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার সেই তেজস্ক্রিয় কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে আবার তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।
অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে নয়ডার ডিএলএফ মলে বিস্ফোরণের হুমকি আসে। অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি হুমকি মেল আসে। বোমা বিস্ফোরণে শপিং মল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। হুমকিতে বলা হয়, শপিং মলের অন্দরে একটি বোমা রাখা রয়েছে এবং সেটির বিস্ফোরণ ঘটলে কারও বাঁচার সম্ভাবনা থাকবে না।এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শপিং মলের ভিতরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সবাই হুড়োহুড়ি করে মল থেকে বেরোতে গেলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই সময় একটি সিনেমার স্ক্রিনিং চলছিল, যা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। খালি করে দেওয়া হয় গোটা মল।
আবার জানা গিয়েছে, ওই একই সময়ে গুজরাটের অ্যাম্বিয়ান্স মলও বিস্ফোরণ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড। যদিও গোটা মলে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement



