আর মাস দেড়েক বাকি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের। পরের বছর পয়লা ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারমন ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার কথা। ফলে ইতিমধ্যই শুরু হয়েছে তার তৈরির প্রস্তুতি। ফলে সােমবার থেকেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শুরু করেছেন প্রাক বাজেট আলােচনার প্রক্রিয়া।
কারণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিভিন্ন বণিকসভা ও কৃষি সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আলােচনায় বসে অর্থমন্ত্রী তাদের অভিমত নেবেন। ফলে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দফায় দফায় এই আলােচনা চলবে। তারপরে সকলের পরামর্শের কথা মাথায় রেখে অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরি করে থাকেন।
Advertisement
সম্প্রতি দেশের অর্থনীতি একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি কমে ৪ শতাংশ হয়েছিল, পরে তা নেমে যায় জুলাই-সেপ্টেম্বর আরও কমে হয় ৪.৫ শতাংশ। এদিকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ সংস্থার আশঙ্কা, অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে তা আরও কমে ৪.৩ শতাংশ হতে পারে। যেহেতু দেশের বিভিন্ন কলকারখানায় শিল্পোৎপাদন ক্রমশ কমে এসেছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটের প্রধান উদ্দেশ্যই হবে অর্থনীতিকে চাঙা করা।
Advertisement
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছিলেন, সরকারি ব্যয়ের বাজেট লক্ষ্যমাত্রার ৬৬ শতাংশ ইতিমধ্যেই খরচ করা হয়ে গিয়েছে। অথাৎ, বাকি ছয় মাসের জন্য সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে অর্থনীতিকে টেনে তােলার মতাে হাতে তহবিল নেই কেন্দ্রের কোষাগারে।
তা ছাড়া ব্যক্তিগত আয়করে ছাড় দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের খরচ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে সরকারি আয় বাড়ানাে যায় কিনা তা অবশেষ বাজেটেই জানা যাবে। ইতিমধ্যেই সীতারামন নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যক্তিগত আয়করের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। তবে পরিস্থিতি যা তাতে সরকার কেমন করে এগােবে সেই ব্যাপারে আগামী কয়েকদিন বিভিন্ন পক্ষের কাছে একটা সাজেশন গ্রহণ করবেন।
এই পর্বে প্রথমদিন সােমবারে বিভিন্ন স্টার্ট-আপ, ফিনান্সিয়াল টেকনােলজি ও ডিজিটাল ক্ষেত্র নিযুক্ত সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল এবং শেয়ার মূলধনী বাজারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলােচনা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
Advertisement



