• facebook
  • twitter
Tuesday, 20 May, 2025

জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিটি মন্ত্রণালয় তাদের নিজ নিজ কাজ ও প্রস্তুতি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছে।

ফাইল চিত্র

পহেলগাম কাণ্ডের প্রত্যাঘাতের পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবরা। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও পরিকাঠামোগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়েও। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা, কার্যক্ষমতা ও নাগরিকদের সুরক্ষায় সরকারের অবিচল অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করেছেন।

বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবিনেট সচিব, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য ও সম্প্রচার, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে সমন্বিত ও সুনির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতির উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সমস্ত মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় অপরিহার্য, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্ষমতা বজায় থাকে।’

বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সমগ্র সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি রূপরেখা তুলে ধরেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয় তাদের নিজ নিজ কাজ ও প্রস্তুতি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, সমস্ত বিভাগের সচিবরা যেন তাঁদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কার্যপ্রণালী পুনর্মূল্যায়ন করেন। জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সিস্টেমগুলিকে শক্তিশালী ও সুনিশ্চিত করার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রস্তুতি, দুর্যোগে সাড়া ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সচিবদের সঙ্গে এই আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোর দেওয়ার বিষয়টি। ভুয়ো খবর ও গুজব প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সর্বদা সমন্বয় রক্ষার কথা বলা হয়েছে।

বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী ফের বলেন, ‘বর্তমান স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারি, প্রাতিষ্ঠানিক ঐক্য ও স্বচ্ছ যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’