সোনিয়ার নেতৃত্বে বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করল

রাজধানীতে পূর্ব দিল্লির সিলামপুর এলাকায় নতুন করে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিরােধীদলগুলি।

Written by SNS New Delhi | December 18, 2019 2:14 pm

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের নাগরিক সংশােধনী আইন প্রণয়ন ও প্ররবর্তীতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ নিয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবিতে বিরােধীদের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করল। (Photo: IANS)

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের নাগরিক সংশােধনী আইন প্রণয়ন ও প্ররবর্তীতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ নিয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবিতে বিরােধীদের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করল। বিরােধীদের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি সােনিয়া গান্ধি।

রাজধানীতে পূর্ব দিল্লির সিলামপুর এলাকায় নতুন করে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিরােধীদলগুলি। কারণ পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর নাকি যথেচ্ছ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস প্রয়ােগ করেছে। এদিন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পা মেলায়।

সােমবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে এবং তা দমন করতে পুলিশকে ব্যাপক লাঠি চার্জ করতে হয় বলে অভিযােগ। বিক্ষোভকারীদের আটকানাের চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযােগে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় বলে পুলিশের পক্ষে জানানাে হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালায় ও বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এর প্রতিবাদে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার্থীরা পথে নামে।

সন্ধের সময় বিরােধীদের পক্ষে পুলিশের অতি সক্রিয়তার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়। বিজেপির নির্দেশ মতােই দিল্লি পুলিশ কাজ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে কংগ্রেস দলের পক্ষে। এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির পক্ষে এদিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানানাে হয়। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও কেরলে নাগরিক সংশােধনী আইন বলবৎ করা হবে না বলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়েছেন।

গতকাল পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতেই নাগরিকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছিল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়েছে নাগরিক সংশােধনী আইন বলবৎ করা ছাড়া রাজ্যগুলির কোনও বিকল্প পথ নেই। বিরােধীদের মত হল সংবিধানে নাগরিকের সমানাধিকার এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক নীতি মােতাবেকই নাগরিক আইন প্রচলিত।

রাষ্ট্রপতি বুধবার নতুন আইনে স্বাক্ষর করার ফলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের পূর্বে আগতদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে।