পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ওড়িশায় গ্রেফতার যুবক

ওড়িশার ঢেনকানাল জেলার নুল্লায় পাঁচবছরের এক শিশুকন্যর পচাগলা দেহ উদ্ধারের চার দিন পর বছর পয়ত্রিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ওড়িশার পুলিশ।

Written by SNS Bhubaneswar | November 19, 2020 6:46 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

ওড়িশার ঢেনকানাল জেলার নুল্লায় পাঁচবছরের এক শিশুকন্যর পচাগলা দেহ উদ্ধারের চার দিন পর বছর পয়ত্রিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ওড়িশার পুলিশ। ধৃত পরিবারটির পরিচিত। তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা রয়েছে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। 

ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, ১২ নভেম্বর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও হয়। পরদিন ঢেনকানাল জেলার কাকদহদা ব্লকের খড়খড়ি গ্রামের নুল্লায় শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। 

কামাখ্যানগর সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার এস মল্লিক জানান, সঙ্কর্ষণ দেহুরি নামে ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নিজের অপরাধ গােপন করতে তাকে শ্বাসরােধ করে মেরে ফেলে। এই সঙ্কর্ষণ শিশুটির পরিচিত। পরিবারটির সঙ্গে তার আত্মীয়তা রয়েছে। সম্পর্কে সে শিশুটির দূর সম্পর্কের কাকা। 

পুলিশের বয়ান অনুযায়ী দূর সম্পর্কের কাকা হওয়ার সুবাদে সঙ্কর্ষণ শিশুটির বাড়িতে যাতায়াত করত। ১২ নভেম্বর স্ন্যাক্স কিনে দেওয়ার অছিলায় সে ওই শিশুকন্যা ছাড়াও আরও একটি বাচচাকে নিয়ে বেরােয়। স্ন্যাক্স কিনে বাচ্চাটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেও পাঁচ বছরের কন্যাটি তার কোলেই ছিল। তারপর থেকে আর বাচ্চাটির খোঁজ মেলেনি। ফলে প্রথম থেকেই পুলিশের চোখে সন্দেহের তালিকায় ছিল অভিযুক্ত।

বাচ্চাটির হদিশ পেতে ওই এলাকার একাধিক দোকানদার ছাড়াও গ্রামে বাজারে লােকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনেকেই জানান, অভিযুক্তের সঙ্গেই বাচ্চাটিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১ নভেম্বর নুল্লা থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। জেরার মুখে অভিযুক্ত স্বীকার করে ধর্ষণ করার পরেই সে ওই বাচ্চা মেয়েটিকে শ্বাসরােধ করে খুন করেছে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহের ময়নাতদন্তেও ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। আইপিসি ছাড়াও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে আলাদা করে মামলা হয়েছে। 

২০১৯ সালে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৮৭ টি করে ধর্ষণের মামলা রেকর্ড হয়েছে। সব মিলিয়ে গােটা দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ছিল ৪০৫৬১ টি। ২০১৮ সালের নিরিখে বিচার করলে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা সাত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এই তথ্য সামনে এসেছে।