হুইলচেয়ার না পাওয়ায় মুম্বাই বিমানবন্দরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধের 

Written by SNS February 16, 2024 4:19 pm
মুম্বাই, ১৬ ফেব্রুয়ারি – মুম্বইয়ের ছত্রপতি মহারাজ শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মৃত্যু হল এক ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের । হুইলচেয়ারের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কোনওরকম বন্দোবস্ত করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত বিশেষভাবে সক্ষম ওই বৃদ্ধ যাত্রীকে হেঁটেই অভিবাসনের দফতরে যেতে হয় তাঁকে। দফতরের দিকে হেঁটে যাওয়ার পথেইহয় তাঁর।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর,   ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃদ্ধ আমেরিকার নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা।নিউ ইয়র্ক থেকে স্ত্রীর সঙ্গে ভারত এসে পৌঁছন তিনি।  সোমবার এয়ার ইন্ডিয়া এআই-১১৬ বিমানে মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন তিনি।  বিমান বুকিংয়ের সময় নিজের এবং স্ত্রীর জন্য দু’টি হুইলচেয়ারের আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মুম্বাইয়ে পৌঁছনোর কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু বিমান অবতরণে প্রায় দু’ঘণ্টা দেরি হয়। সোমবার দুপুর ২টো ১০ মিনিটে মুম্বই বিমানবন্দরে বিমানটি  অবতরণ করে । কিন্তু বিমানটি অবতরণ করার হুইল চেয়ার পাননি ওই বৃদ্ধ দম্পতি।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই বিমানের মোট ৩২ জন যাত্রী হুইলচেয়ারের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিমান অবতরণের পর ঘাটতি পড়ে হুইলচেয়ারের। ১৫টি হুইলচেয়ার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিমানকর্মীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যে বাকি হুইলচেয়ারের আয়োজনও করে ফেলতেন কর্মীরা। এমনটাই দাবি বিমান কর্তৃপক্ষের। হুইলচেয়ার কম থাকায় স্ত্রীকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই বৃদ্ধ। বিমানবন্দরের ভিতর প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে যান তিনি। পথেই অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন তিনি। বিমানবন্দরের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিমান সংস্থার মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরা যাত্রীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করি। কিন্তু অনেক সময় যাত্রীরা হুইলচেয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে চান না। পরিবারের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার ভয়ে হুইলচেয়ার ছাড়াই চলে যান। এই ঘটনা সত্যিই খুব দুঃখজনক।’’
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীদের একাংশ। এমন অমানবিক আচরণের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে উড়ান সংস্থার বিরুদ্ধে। বৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে অক্ষম যাত্রীদের জন্য কেন তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেই সেই প্রশ্ন উঠছে।