জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও এখন বাঙালি আগে বিজেপিকে আক্রমণ করার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সেই আত্রমণের মােকাবিলা করার সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজেপিকেও। সেই কারণেই রবিঠাকুরের চেয়ারে বসা নিয়ে বিতর্কের জবাবে লােকসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ’কে ছবির প্রমাণ দিয়ে বলতে হয়, আমি রবি ঠাকুরের চেয়ারে বসিনি। ক্ষমতার সিংহাসনে থাকলেও বাঙালির আবেগের আসনে যে বসা যায় না, সেকথা পরােক্ষে মেনে নিতে হয় খােদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও।
প্রসঙ্গত ডিসেম্বরে বাংলায় রােড শাে করতে এসে শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবিঠাকুরের চেয়ারে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে অভিযােগ উঠেছিল। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও লােকসভায় ফের সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, অমিত শাহ শান্তিনিকেতনের গরিমাকে খাটো করেছেন। শান্তিনিকেতেন গিয়ে বলেছিলেন, রবি ঠাকুর সেখানে জন্মেছিলেন। আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে চেয়ারে বসতেন, সেখানে বসেছিলেন অমিত শাহ।
Advertisement
মঙ্গলবার অধীর চৌধুরীর এই অভিযােগের উত্তরে লােকসভায় কিছু পুরনাে ছবি তুলে ধরেন অমিত শাহ। তাতে দেখা যায়, অতীতে প্রণব মুখােপাধ্যায়, রাজীব গান্ধি, শেখ হাসিনা সকলেই সেই একই আসনে বসেছিলেন। সেখানে বসেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন। যে আসনে বসা নিয়ে আঙুল তােলা হয়েছে অমিত শাহর দিকে।
Advertisement
এদিন অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করে পাল্টা অমিত শাহও বলেন, কংগ্রেসের সংস্কৃতি হল, মিথ্যে কথা রটিয়ে রাজনৈতিক সুবিধে আদায় করা। সেইভাবেই আমার শান্তিনিকেতন সফর নিয়ে মিথ্যে কথা রটানাে হচ্ছে।
Advertisement



