রাজ্যে এনআরসির প্রয়োজন নেই : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লির নর্থব্লকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এনআরসি নিয়ে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Written by SNS New Delhi | September 20, 2019 11:46 am

অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Photo: IANS/HMO)

বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সাক্ষাতে নাগরিকপঞ্জিকরণ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। মমতা জানিয়েছিলেন, ওটা অসমের ক্ষেত্রে প্রযােগ্য হলেও বাংলাতে নয়। গতকাল ঝাড়খণ্ডে থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সুযােগ পেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলেছিলেন তিনি। আর এরপরেই বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লির নর্থব্লকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এনআরসি নিয়ে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

দুজনের মধ্যে প্রায় আধঘন্টা কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরােধ করেছেন, অসমে বাদ পড়া বৈধ নাগরিকদের সঙ্গে যেন কোনও অবিচার না হয়। তাদেরকে যেন এনআরসির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যের একাধিক দাবিপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেউচা-পাঁচামি কোলব্লকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এনআরসি নিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষোভের কথা তুলে ধরতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এব্যাপারে তিনি একটি চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন, অসমের চুড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি থেকে শুধু বাঙালিরাই নয়, বহু গাের্খা, বিহারি, এমনকি অসমে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারীদের নাম বাদ পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরােধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পরে দিল্লিতে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবার দেখা করেছেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখােমুখি হন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এই সমস্ত নাগরিক এখন চরম দুর্দশার মধ্যে দিনপাত করছেন। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরােধ করেছি, বৈধ নাগরিকদের বিষয়টি আপনি পুনর্বিবেচনা করে দেখুন। কেউ যাতে বাদ না পরে, সেটা দেখতে হবে এবং এই সমত নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়ােজন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ জানিয়েছিলেন অসমের পরে বাংলায় এনআরসি চালু হবে। এনআরসি হলে প্রায় দুকোটি মানুষের নাম বাদ পড়বে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, অসমের পরে কি বাংলায় এনআরসি চালু হবে? আর এব্যাপারে কি কোনও কথা হয়েছে? এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর চটজলদি উত্তর ছিল, বাংলায় এনআরসি নিয়ে কোনও আলােচনা হয়নি। অসমে এনআরসি কার্যকরী হলেও এই রাজ্যে সেটা হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাে বলে দিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে কোনওভাবেই এনআরসি কার্যকর করা যাবে না।