ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য কারা তা নিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করবে রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর। এই সমীক্ষা করতে সময় লাগবে তিন মাস। সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার একথা জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল। রাজ্যের এই প্রস্তাবে মান্যতা দিয়েছে আদালত। ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার, বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই রাজ্য সরকার নতুন করে তালিকা তৈরির জন্য সময় চেয়ে আবেদন জানায়। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওবিসি তালিকায় নতুন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তির জন্য সমীক্ষা করবে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, ওবিসি সার্টিফিকেটে কারচুপির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। বিজেপির অভিযোগ ছিল, যোগ্যদের এই সার্টিফিকেটের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। গত ২২ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সাল থেকে ৭৭টি সম্প্রদায়কে দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের ফলে প্রায় ১২ লক্ষ সার্টিফিকেট মূল্যহীন হয়ে পড়ে। হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরও সেই মামলায় যুক্ত হয়।
সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে নতুন করে সমীক্ষার কাজের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা রাজ্যের এই আবেদন মঞ্জুর করেন। জুলাই মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।