চাকরির বাজার ভয়ানক হতাশজনক, মোদির নীতি বদলানোর পরামর্শ জাতীয় সমীক্ষায়

কর্মসংস্থান, বেকারত্ব হ্রাস ইত্যাদি একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসেছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিগুলিই যে কার্যত এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হারে হারে টের পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো সমীক্ষা জানালো উপদেষ্টা সংস্থা অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া।

Written by SNS New Delhi | March 30, 2019 8:36 am

নরেন্দ্র মোদি (ছবি- ফেসবুক)

কর্মসংস্থান, বেকারত্ব হ্রাস ইত্যাদি একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসেছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিগুলিই যে কার্যত এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হারে হারে টের পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া তো বহু দূর, মোদি আমলে কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন বিরোধীদের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শুধু বিরোধীরা নয়,  বিভিন্ন সমীক্ষাতেও এই একই তথ্য বার বার উঠে এসেছে। কিন্তু কিছুতেই কর্ণপাত করেনি সরকার। তবে আগের থেকে আরও বেশি সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো সমীক্ষা জানালো উপদেষ্টা সংস্থা অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া।

তাঁদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এই দেশে কাজের বাজারের অবস্থা ভয়ানক এবং অত্যন্ত হতাশাজনক। আর এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের নীতিকেই অনেকাংশে দায়ী করেছে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া। এহেন পরিস্থিতির বদল ঘটাতে কেন্দ্র যে নীতিগুলি বহন করে এগোচ্ছে, তা একপাশে সরিয়ে আগে শ্রমনিবিড় কাজের ওপর জোর দিক। তাহলেই কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে। অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহর জানান, একাধিক কাজের সুযোগ এবং কর্মক্ষেত্র কর্মীদের মধ্যে লিঙ্গবৈষম্য কমানোর কথা যতই বলা হোক না কেন, বাস্তবের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা, আরও ভয়ানক। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, একই কাজের জন্য মহিলা কর্মীরা পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৩৪শতাংশ কম বেতন পান। এই সংস্থার পরামর্শ, যন্ত্রনির্ভর শিল্পের বদলে শ্রম নিবিড় শিল্পের উন্নতিতে কোমর বাঁধুক কেন্দ্রীয় সরকার।

সম্প্রতি ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের রিপোর্টে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য  উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৫বছরে প্রায় ২কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ২০১২-২০১৮ আর্থিক বছর অনুযায়ী দেশের প্রায় ছ’কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১-১২ আর্থিক বছরে দেশের চাকরি ছিল ৩০.৪ কোটি মানুষের। ২০১৭-২০১৮ তে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮.৬ কোটিতে। তবে এই প্রথম নয়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, দিনের পর দিন দেশে পুরুষ কর্মচারীদের সংখ্যা কমছে । তবে এই প্রথম নয়। সেই সময় দেশে চাকরির ক্ষেত্রে পুরুষদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২১.৯ কোটিতে।