সর্বদলীয় বৈঠক থেকে কৃষকদের বার্তা মােদির, ফোন করলেই আইন স্থগিত রাখব

কৃষি আইন নিয়ে রাজধানীতে ধুন্ধুমারের রেশ এখনও কাটেনি। তবে কৃষকদের জন্য আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে। আগের মতোই কৃষি আইন সাময়িক স্থগিত রাখতে প্রস্তুত সরকার।

Written by SNS New Delhi | January 31, 2021 12:17 pm

নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

কৃষি আইন নিয়ে রাজধানীতে ধুন্ধুমারের রেশ এখনও কাটেনি। তবে কৃষকদের জন্য আলােচনার রাস্তা খােলা রয়েছে। আগের মতােই কৃষি আইন সাময়িক স্থগিত রাখতে প্রস্তুত সরকার। শনিবার সর্বদলীয় বৈঠকে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। 

তিনি জানান, কৃষক নেতারা একটা ফোন করলেই হল। তা হলেই ফের আলােচনা শুরু করা যাবে। এর আগে সরকারি প্রস্তাবে সায় থাকলে তাঁকে একটা ফোন করলেই হবে বলে কৃষকদের বার্তা দিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তােমর। 

তাঁকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নরেন্দ্র সিংহ তােমর কৃষকদের যা বলেছিলেন, আমারও তাই বক্তব্য।’ তিনি বলেছিলেন, ‘এখনও পর্যন্ত একমত না হতে পারলেও কৃষকদের একটা প্রস্তাব দিচ্ছি আমরা। তাঁরা সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পারেন। একটা ফোনেই তাঁকে পাওয়া যাবে, সে কথাও বলেছিলেন তিনি।’

প্রসঙ্গত, কৃষকদের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই শুক্রবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশনের আগেই সর্বদলীয় বৈঠক হয়। কিন্তু কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ১৯ টি বিরােধী দল অধিবেশত্রে প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করেন। 

সেই আবহে শনিবার বিরােধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন মােদি। সেখানেই কৃষকদের উদ্দেশে এমন বার্তা দেন মােদি। বিরােধী দলগুলিকে নিজেদের সমর্থকদের কাছেও তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে অনুরােধ জানান মােদি। 

তিনি বলেন, ‘সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা এখনও বহাল রয়েছে। আপনাদের সমর্থকদের সে কথা জানাতে অনুরােধ করছি। আলােচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র বার করতে হবে। দেশের কথা ভাবতে হবে আমাদের সকলকেই।’ 

উল্লেখ্য, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা গােলাম নবি আজাদ, শিবসেনা সাংসদ বিনায়ক রাউত, শিরােমণি অকালি দলের বলবিন্দর সিংহ ভুন্দেরের মতাে বিরােধী দলের নেতারা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের অবস্থান জানান তাঁরা। 

প্রসঙ্গত, ১৮ মাসের জন্য বিতর্কিত ৩ টি কৃষি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব আগেই কৃষকদের দিয়েছিল কেন্দ্র। গত সপ্তাহে ১১ দফায় বৈঠকের সময় ওই প্রস্তাব রাখা হয় কৃষকদের সামনে। কিন্তু কৃষক নেতারা তাতে সম্মত হননি। বরং সম্পূর্ণ ভাবে আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সেই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার।