চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলােচনায় জোর দিতে চান মােদি

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের সকল প্রধান বিষয়ে চিন তাদের পাশে আছে বলে মন্তব্য করেন।

Written by SNS New Delhi | October 11, 2019 11:38 am

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। (File Photo: AFP)

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের সকল প্রধান বিষয়ে চিন তাদের পাশে আছে বলে মন্তব্য করেন। এমনকী আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে জিনপিং বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সনদ মেনেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন চিন সফরে রয়েছেন। ভারত চিনের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের কড়া সমালােচনা করেছে। বিদেশ দফতরের মুখপাত্র রভিশ কুমার জানান, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অন্য কারও নাক গলানাে ভারত বরদাস্ত করবে না। উত্তরে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে চিনের অবস্থান খুবই স্পষ্ট এবং সবসময়েই এক। ভারত ও পাকিস্তানকেই নিজেদের মধ্যে আলােচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সহ সমস্ত বিষয়ে নিজেদের আস্থা অর্জন করতে হবে।

এরই মধ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন। ১১-১২ অক্টোবর চিনের প্রেসিডেন্ট মল্লপুরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট বৈঠক করবেন। সেখানে অবধারিতভাবেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ যেন সামগ্রিকভাবে বৈঠকের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করতে না পারে সেদিকে উভয় দেশেরই নজর থাকবে।

প্রধান আলােচনার বিষয়বস্তু হবে ভারতের বাণিজ্য ঘাতটি। ভারত থেকে চাল ও চিনি আমদানির বিষয়ে চিন কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকে বাণিজ্য মহলের নজর থাকছে। চিন-মার্কিন বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে এবং বাণিজ্যে সংরক্ষণশীলতা ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়েও আলােচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের প্রসঙ্গে ভারতের তীব্র আপত্তির কথাও তুলে ধরা হবে বলে বিশেষ সুত্রে জানা গিয়েছে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরটি গিয়েছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে। করিডরের জন্য চিন যে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে তাতেও ভারত আপত্তি জানিয়েছে। এজন্য চিনের মেগা যােগাযােগ প্রকল্প ‘ওবর’-এ ভারত অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।

এছাড়া, পাকিস্তান জঙ্গিগােষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে। তার প্রমাণ সহ সকল তথ্যও চিনের প্রেসিডেন্টকে জানানাে হবে বলে জানা গিয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বহুপাক্ষিক করিডর তৈরি নিয়ে চিনের সঙ্গে আলােচনা চালাচ্ছে। কিন্তু এবিষয়ে চিনের অনীহা দূর করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির প্রয়াস থাকবে বলে জানা গিয়েছে।