করােনামুক্ত রাজ্য ঘােষণা মিজোরামকে

একমাত্র করােনা রােগী তার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। নতুন করে রাজ্যজুড়ে সংক্রামিতের কোনও খোঁজ নেই। হদিশও নেই নতুন করে সংক্রমণের।

Written by SNS New Delhi | May 11, 2020 8:31 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

একমাত্র করােনা রােগী তার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। নতুন করে রাজ্যজুড়ে সংক্রামিতের কোনও খোঁজ নেই। হদিশও নেই নতুন করে সংক্রমণের। অবশেষে মিজোরামকে করােনামুক্ত ঘােষণা করল সরকার।

উত্তর পূর্বের চার রাজ্য সিকিম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের মতাে মিজোরামও এখন করােনার কবল থেকে একেবারে মুক্ত।

মিজোরামের একমাত্র করােনা রােগীর বয়স ছিল ৪৫ বছর। মিজোরামের একটি চার্চে কর্মরত ছিলেন। তিনি। ১৬ মার্চ আমস্টারডাম থেকে ফেরার পরে তার মধ্যে একটু একটু করে করােনার উপসর্গ দেখা দেয়। গত ২৪ মার্চ তাকে জোরাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়েকে রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে।

হাসপাতালে থাকাকালীন ওই ব্যক্তির করােনা পরীক্ষার রিপাের্ট পজিটিভ আসে। তবে তার স্ত্রী ও মেয়ের কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসায় কয়েকদিনের মধ্যে তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আর লাল থাঙ্গোলিয়ানা জানিয়েছেন, গত ৪৫ দিন ধরে জোরাম মেডিকেলে চিকিৎসা চলছিল ওই ব্যক্তির। সংক্রমণ এখন একেবারেই নেই। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির চারটি র‍্যাপিড টেস্টের রিপাের্টও নেগেটিভ এসেছে। তবুও ওই ব্যক্তিকে ১৪ দিন সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

লকডাউন বিধি খুব কঠোরভাবে বলবত করা হয়েছিল মিজোরামে। জমায়েত আড্ডা কোনও কিছুই হয়নি। পারস্পরিক দুরত্ববিধি মানা হয়েছে দোকান বাজারে। তাই সংক্রমণ ছড়ায়নি। রাজ্যের ১১’টি জেলায় ১৩৬৬ জনকে বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের শরীরে কোনও সংক্রমণ নেই।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী পুজোরাম থাঙ্গা বলেছেন, করােনা ঠেকাতে রাজ্যবাসীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে, মায়ানমার ও বাংলাদেশে করােনা সংক্রমণ বাড়ছে। সেটাই চিন্তার কারণ। মায়ানমারের সঙ্গে ৫১০ কিলােমিটার সীমান্ত ও বাংলাদেশের সঙ্গে ৩১৮ কিলােমিটার সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে। সীমান্ত আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।