ওড়িশার রাউরকেলায় ট্রাকভর্তি বিস্ফোরক লুট করলেন মাওবাদীরা। রাস্তায় ওই ট্রাক আটক করে বিস্ফোরক লুট করে তারা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ওড়িশার পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ড রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, একটি পাথরখাদানে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যেই ট্রাকে করে ওই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মাওবাদীরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘাপটি মেরে ছিল রাউরকেলার কেবলং এলাকায়। সূত্রের খবর ট্রাকটি রাউরকেলার কেবলং থানা এলাকা দিয়ে বাঁকো পাথরখনির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথে ট্রাক আটকে চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ট্রাক সমেত সারান্ডার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। এই ঘটনার পর থেকেই ট্রাকটির এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। এমনকি ট্রাকের চালক ও খালাসিকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রের মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাফল্যও মিলেছে। বিগত কয়েক মাসে অনেক মাওবাদীকে নিকেশ করেছে যৌথবাহিনী। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার আত্মসমর্পণও করেছেন কয়েক জন। সম্প্রতি, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরে অবুঝমাঢ়ে জঙ্গল এলাকায় মাওবাদী শীর্ষনেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ ওরফে গগন্নার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথার দাম ছিল ১০ কোটি টাকা। যদিও ছত্তিসগড়ের বস্তার জেলাকে মাওবাদী মাওবাদী মুক্ত ঘোষণা করেছেন
বস্তার রেঞ্জের পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল পি সুন্দর রাজ। তিনি বেশ কয়েকজন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন বলেও উল্লেখ রেছেন।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে মাওবাদী-মুক্ত করার ঘোষণা করেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল থেকে কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় শুরু হয়েছে মাওবাদী দমন অভিযান। ওই দলে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’। রয়েছে ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও।