• facebook
  • twitter
Wednesday, 6 August, 2025

ঝাড়খণ্ডে গুলির লড়াইয়ে নিহত ৮ মাওবাদী

ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে খতম ৮ জন মাওবাদী। তাঁদের মধ্যে এক মাওবাদী নেতার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা।

ফাইল চিত্র

ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম ৮ জন মাওবাদী। তাঁদের মধ্যে এক মাওবাদী নেতার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। জঙ্গল থেকে মাওবাদীদের দেহ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একে সিরিজের রাইফেল, কিছু অস্ত্রশস্ত্র, একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, একটি পিস্তল এবং আটটি দেশি বন্দুক। সোমবার ভোরে বোকারোর লালপানিয়া থানার লুগু পাহাড়ের জঙ্গলে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে অংশ নেয় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর জঙ্গল ওয়ারফেয়ার ইউনিট, কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন ফর রেজোলিউশন অ্যাকশন (কোবরা) এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশ।

স্থানীয় কয়েকজন আদিবাসীর থেকে রবিবার রাতে পুলিশ খবর পায়, মাওবাদীরা সোসো টোলায় জড়ো হয়েছে। ওই জায়গাটি লুগু পাহাড়ের তলায় চোরগাঁও ও লালমাটিয়া লাগোয়া। সেই মতো ভোর ৪টের আগে থেকেই এলাকা ঘিরে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কোবরা কমান্ডো ও পুলিশ কর্মীরা। পাল্টা গুলি ছোড়ে মাওবাদীরাও। সেই সময় বাহিনীর গুলিতে ৮ মাওবাদীর মৃত্যু হয়। ঝাড়খণ্ডের ডিজিপি জানিয়েছেন, দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জন মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা কেউ হতাহত হননি বলেই খবর।

সূত্রের খবর, মৃত মাওবাদীদের তালিকায় রয়েছেন নকশাল কমান্ডার বিবেক। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর ‘হিট লিস্টে’ থাকা এই মাওবাদীর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। বাকি ৭ জন বিবেকের সঙ্গী বলেই মনে করছে পুলিশ। তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। অনুমান করা হচ্ছে, বাকিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এমন রয়েছেন, যাঁদের মোটা অঙ্কের মাথার দাম ঘোষণা করেছিল সরকার।

এদিকে ভোরবেলা যখন জঙ্গলে দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়, সেই সময় মহুয়া ও কেন্দুপাতা তুলতে জঙ্গলে ঢুকেছিলেন স্থানীয় আদিবাসীরা। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে হতচকিত হয়ে যান তাঁরা। প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের দিকে পালিয়ে আসেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়ড়খণ্ডের মতো মাও অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে শাহ মাওবাদীদের অস্ত্র ত্যাগ করার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, হিংসা পরিবর্তন আনতে পারে না। ছত্তিশগড়ের গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য এক কোটি টাকাও ঘোষণা করেন অমিত শাহ।