• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ছত্তিশগড়ে অভিযানে বড়সড় সাফল্য, গুলির লড়াইয়ে নিহত ১২ মাওবাদী

২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ‘সম্পূর্ণ মাওবাদমুক্ত ভারত’ গড়াই সরকারের লক্ষ্য। কেন্দ্রের স্পষ্ট বার্তা, ‘আত্মসমর্পণ করুন, নয় তো পথ একটাই—মৃত্যু।’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদ বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। বুধবার ভোরে দান্তেওয়াড়া-বিজাপুরের সীমান্তবর্তী ভৈরামগড় এলাকার কেসাকুতুল জঙ্গলে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পরে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন মাওবাদীর। শহিদ হয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক জওয়ান। এখনও জঙ্গলে মাওবাদীদের বাকি দল লুকিয়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই গুলির লড়াই চলছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, গোপনে খবর পেয়ে সকালেই মাওবাদীদের ঘাঁটি চিহ্নিত করে এলাকাটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে বাহিনী। এই অভিযানে অংশ নেয় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বিশেষ টাস্ক ফোর্স এবং সাহসী কমান্ডো পরিষেবা কোবরা বাহিনীর সদস্যরা। তল্লাশির সময় অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। গুলি চালনার প্রথম ধাক্কায় শহিদ হন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক জওয়ান। গুরুতর জখম হন আরও এক জন। পালটা জবাব দিতে মুহূর্তে প্রস্তুত হয় নিরাপত্তাবাহিনী। কয়েক দফা গুলির লড়াইয়ের শেষে ১২ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চারদিকে জঙ্গলে ঘেরা দুর্গম এলাকায় আরও মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকদের।

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাম্প্রতিক বার্তায় জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ‘সম্পূর্ণ মাওবাদমুক্ত ভারত’ গড়াই সরকারের লক্ষ্য। কেন্দ্রের স্পষ্ট বার্তা, ‘আত্মসমর্পণ করুন, নয় তো পথ একটাই—মৃত্যু।’ এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড-সহ মাওবাদপ্রধান অঞ্চলগুলিতে অভিযান আরও অনেক বেশি জোরালো হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসনের রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরে শুধু ছত্তিশগড়েই মাওবাদ বিরোধী অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জন মাওবাদীর। তার মধ্যে বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলাতেই প্রাণ হারিয়েছে ২৩৯ জন। লাগাতার অভিযানে কোণঠাসা হয়ে বিপুল সংখ্যক মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। বুধবার সকালের সংঘর্ষ দেখিয়ে দিল, অভিযানের গতি এখনও অব্যাহত এবং মাওবাদীদের প্রতিরোধ প্রাচীর ভাঙতে প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

Advertisement