• facebook
  • twitter
Thursday, 24 April, 2025

১৪৪ বছরে মহাকুম্ভ নিয়ে সংশয় প্রকাশ মমতার, নিশানা যোগীকে

মানুষকে বিপদে ফেলা ঠিক নয়

ফাইল চিত্র

এবছর প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের যে বিশেষ যোগের কথা প্রচারিত হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নের একটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, পূণ্যস্নান সংক্রান্তিতে হয়। যেমন গঙ্গাসাগর প্রতিবার হয়, মহাকুম্ভে ১২ বছর পর পর হয়। তা বলে ১৪৪ বছর অন্তর মহাকুম্ভ, আমি যতটুক শুনেছি, এটা ঠিক নয়!’

মমতা আরও বলেন, ‘আমার যদি ভ্রান্তি থাকে আপনারা সংশোধন করে দেবেন। আমি একটু অজ্ঞ আছি! যদি কেউ বিশিষ্ট মানুষ থাকেন, যাঁরা জানেন, তাঁদের বলব, একটু গবেষণা করে জানাবেন, আসল সত্যটা কী। আসল তথ্যটা কী!’ অর্থাৎ বিশ্লেষকদের মত অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিতর্ক উস্কে দিলেও বিষয়টি সরাসরি নিজের কাঁধে রাখেন নি। বরং সুকৌশলে বিতর্ক উস্কে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও বিজেপির স্নায়ুর চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি মহাকুম্ভে জলের গুণগত মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তারা নিরাপদ পূণ্যস্নান ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারপর থেকেই মহাকুম্ভের জল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও। যদিও কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)-এর রিপোর্ট মানতে চাননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা সুকৌশলে ১৪৪ বছরের বিতর্ক উস্কে দিয়ে বলেন, ‘যোগীবাবু হয়তো রেগে যাবেন, কিন্তু যেটা সত্যি সেটা তো আমাকে বলতেই হবে।’  মমতা আরও বলেন, ‘যারা কুম্ভ স্নান করছেন তাদের নিয়ে কিছু আমি বলিনি। কারণ, কে কোথায় স্নান করবে, কী খাবে, কী পরবে, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। ধর্ম যার যার নিজস্ব বিষয়। এ নিয়ে আমি কিছু বলি না। আমরা সকল ধর্মকে সম্মান করি। কিন্তু মানুষকে বিপদে ফেলা ঠিক নয়।’

তিনি সেই সঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও যোগী ও কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেছেন। এ প্রসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে কুম্ভমেলার তুলনা টেনে সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করার খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু কুম্ভ স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট নয়, কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে রেল দুর্ঘটনা, একাধিক দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা গেলেন, অথচ অনেককে ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হল না। আমাদের রাজ্যের মৃতদের পিএম এখানে করতে হল। সকলে যেন ক্ষতিপূরণ পান, এটা উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেখা দরকার।

উল্লেখ্য, এর আগে পদপিষ্টের ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ডেডবডি লোপাট করার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সে প্রসঙ্গে মৃত্যু বা পদপিষ্টের প্রকৃত সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আগেই করেছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ টেনে এদিন সেকথাও ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে আমি কিছু বলি না। আমরা সকল ধর্মকে সম্মান করি। কিন্তু মানুষকে বিপদে ফেলা ঠিক নয়।’

তিনি সেই সঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও যোগী ও কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেছেন। এ প্রসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে কুম্ভমেলার তুলনা টেনে সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করার খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু কুম্ভ স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট নয়, কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে রেল দুর্ঘটনা, একাধিক দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা গেলেন, অথচ অনেককে ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হল না। আমাদের রাজ্যের মৃতদের পিএম এখানে করতে হল। সকলে যেন ক্ষতিপূরণ পান, এটা উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেখা দরকার।

উল্লেখ্য, এর আগে পদপিষ্টের ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ডেডবডি লোপাট করার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সে প্রসঙ্গে মৃত্যু বা পদপিষ্টের প্রকৃত সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আগেই করেছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ টেনে এদিন সেকথাও ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।