• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মাধুরীর মতই এই লেকের সৌন্দর্য চোখ ঝলসানো 

সেই ৯০-এর দশকে অরুণাচল প্রদেশের একটি অচেনা পাহাড়ি গ্রামে ছবির শ্যুটিং-এ গিয়েছিলেন বলিউড ডিভা মাধুরী দীক্ষিত। ছবির নাম কয়লা। সহ অভিনেতা শাহরুখ খান। সিনেমা হিট না করলেও তার গানগুলি ছিল সুপারহিট। বিশেষ করে মাধুরী দীক্ষিতের নাচের দৃশ্যগুলি দর্শকের মন কেড়েছিল। আর অরুণাচলের যেই হ্রদকে কেন্দ্র করে মাধুরীর নাচের দৃশ্যগুলি ছিল সেই হ্রদের নামই পরে বদলে

সেই ৯০-এর দশকে অরুণাচল প্রদেশের একটি অচেনা পাহাড়ি গ্রামে ছবির শ্যুটিং-এ গিয়েছিলেন বলিউড ডিভা মাধুরী দীক্ষিত। ছবির নাম কয়লা। সহ অভিনেতা শাহরুখ খান। সিনেমা হিট না করলেও তার গানগুলি ছিল সুপারহিট। বিশেষ করে মাধুরী দীক্ষিতের নাচের দৃশ্যগুলি দর্শকের মন কেড়েছিল। আর অরুণাচলের যেই হ্রদকে কেন্দ্র করে মাধুরীর নাচের দৃশ্যগুলি ছিল সেই হ্রদের নামই পরে বদলে যায়। লোকমুখে হ্রদের নাম হয়ে ওঠে মাধুরী হ্রদ।
হ্রদটি অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫,২০০ ফিট উপরে অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশের অপূর্ব সুন্দর হ্রদটির প্রকৃত নাম সঙ্গেতসর হ্রদ। এইখানেই এক সময় নিজের সিনেমার একটি গানে নাচ করেছিলেন স্বয়ং মাধুরী দীক্ষিত। তার পর থেকে এই হ্রদের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় মাধুরী লেক। অনেকে বলেন যে, সৌন্দর্যের কারণেও এই হ্রদকে মাধুরী নামে ডাকা হয়।

সঙ্গেতসর হ্রদটি থেকে ভারত-চিন সীমানা খুব কাছেই। সঙ্গেতসর হ্রদের সৌন্দর্য হিমালয়ের সৌন্দর্যের চেয়ে কম কিছু নয়। লেকের চারদিকে আছে দেবদারু গাছ। এখানকার পাহাড়েরর প্রতিচ্ছবি হ্রদের জলে স্পষ্ট পড়ে, তাতে তার সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়।এই হ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে চারপাশ দেখলে মুগ্ধ হয়ে যান সকলে। ভূমিকম্পের ফলে পাথর পড়ে এই প্রাকৃতিক হ্রদের সৃষ্টি হয়। তবে এসব স্থানে ঘুরতে গেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুমতি লাগে। সঙ্গেতসর হ্রদের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ প্রায় ১৫,২০০ ফিট। স্থানীয় লোকজনের কথা অনুযায়ী, বর্তমান অবস্থান থেকে এই হ্রদ কিছুটা দূরে অবস্থিত ছিল। কথিত আছে যে, এই হ্রদটি টেকটোনিক প্লেটের স্থানান্তরের কারণে তার স্থান থেকে সরে গেছে। এবং এর ফলে সেখানকার দেবদারু অরণ্যের একটা বড় অংশ জলের নীচে তলিয়ে গেছে। আজও, গাছের উপরের অংশগুলিকে অদ্ভুতভাবে জলের উপরিভাগে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 

কীভাবে যাবেন

ভারত-চিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত সঙ্গেতসর হ্রদ দেখতে হলে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। অরুণাচলের তাওয়াং থেকে এই হ্রদে পৌঁছাতে সময় লাগে ২ ঘণ্টার মতো। এখানে শুধু ভারতীয় পরিচয়পত্রধারীদেরই নিয়ে যাওয়া হয়। এই লেকের চারপাশের দৃশ্য খুবই সুন্দর।

Advertisement

Advertisement

Advertisement