• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মায়ানমার সীমান্তে সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি

অরুণাচল প্রদেশের মায়ানমার সীমান্তে সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি। শুক্রবার থেকে দফায় দফায় গুলির লড়াই চলে দু'পক্ষের মধ্যে।

অসম রাইফেলস

অরুণাচল প্রদেশের মায়ানমার সীমান্তে সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি। শুক্রবার থেকে দফায় দফায় গুলির লড়াই চলে দু’পক্ষের মধ্যে। সূত্রের খবর, নিহতেরা নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর সদস্য। অরুণাচল প্রদেশের ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। যদিও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গিদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার অরুণাচলের লংডিং জেলার দুর্গম অঞ্চলে টহল দিচ্ছিল সেনা এবং অসম রাইফেলসের যৌথবাহিনী। সেই সময় জওয়ানদের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। এর পরেই বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয় ওই এলাকায়। সেনার প্রত্যাঘাতের জেরে অস্ত্র এবং নিহত দুই সঙ্গীর দেহ ফেলে পালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ এবং এম-৪ স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একটি গ্রেনেড লঞ্চার।

Advertisement

গোপন সূত্রে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, ভারত-মায়ানমার সীমান্তের লংডিং জেলার কাছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হতে পারে। এরপরই ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সেই সময় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার বিষয়টি চোখে পড়ে। জওয়ানদের দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্যের সঙ্গে মায়ানমারের প্রায় ১৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে অরুণাচলে রয়েছে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। মায়ানমারে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনগুলির তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নজরদারি বাড়িয়েছে সেনা। মায়ানমার সীমান্তে সক্রিয় এনএসসিএন (খাপলাং) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিকবার সেনা এবং অসম রাইফেলসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সপ্তাহখানেক আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরোধী বিদ্রোহী জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়ান্স’-এর অন্তত ১০ যোদ্ধা নিহত হন। মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম এই দাবি করেছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বাহিনী অসম রাইফেলসের উপরেই মায়ানমার সীমান্তের সুরক্ষা ও নজরদারির দায়িত্ব রয়েছে।

Advertisement