পুলিশের কথামতো জোগাড় করা হয়েছিল মুক্তিপণ হিসাবে দাবি করা ৩০ লক্ষ টাকা। কথা ছিল অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলেই তাদের ধরবে পুলিশ। কিন্তু অপহরণকারী এল, টাকা নিয়ে চলেও গেল। না তাকে ধরতে পারল পুলিশ, না উদ্ধার করতে পারল অপহৃত ব্যক্তিকে। পুলিশের পক্ষে চরম লজ্জাজনক এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কানপুরের।
গত ২২ জুন কানপুরের একটি প্যাথলজি ল্যাবে কর্মরত এক ৩৫ বছরের ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। অপহরণ করার পর ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে ওই ব্যক্তির বাড়িতে। টাকা না পেলে ওই ব্যক্তিকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
Advertisement
অপহরণের পর টাকা চেয়ে অন্তত ১৫ বার ফোন করে এক ব্যক্তি। এই বিষয়ে কানপুরের বারা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান, অপহৃতের বাড়ির লোকজন। ওই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ যে পুলিশ তাদের ধৈর্য ধরতে বলে। মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করে তা অপহরণকারীদের কথামত নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যেতেও নির্দেশ দেয় পুলিশ। অপহরণকারী টাকা নিতে এলেই তাকে ধরা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার পরিকল্পনামতো কিছুই হয় না।
Advertisement
অপহৃতের বোন জানিয়েছেন, আমরা টাকা দিয়েও দিলাম। কিন্তু দাদাকে ওরা এখনও ছাড়েনি। পুলিশ সমানে বলে যাচ্ছে যে ওই টাকা তারা উদ্ধার করে দেবে। কিন্তু আমাদের আসল লক্ষ্য তো আগে দাদাকে ফিরে পাওয়া। আমরা যখন টাকা দিতে গেলাম পুলিশকর্মীদের একটি দল আমাদের সঙ্গে ছিল। মুক্তিপণের টাকা দেয়ার আগে অপহরণকারী আমারবাবার ফোনে ফোন করে অন্তত ৩০ মিনিট কথা বলেছে। ওরা বাবাকে বাধ্য করলো ফ্লাইওভারের ওপর থেকে নিচে রাস্তার ওপর টাকার ব্যাগ ছুড়ে ফেলতে। পুলিশ কি আগে থেকে কিছুই আন্দাজ করতে পারেনি?
নিম্নমধ্যবিত্ত ওই পরিবার জানিয়েছে যে বিপুল ধারদেনা করে ও গহনা বিক্রি করে এই টাকা তারা জোগাড় করেছিলেন। মঙ্গলবার এই ঘটনার প্রতিবাদে কানপুরের পুলিশ প্রধান দীনেশ কুমারের অফিসের বাইরে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এরপরেই ঘটনায় তদন্তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর্ণা গুপ্ত নামে এক আইপিএস অফিসার পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় খুব তাড়াতাড়ি অপরাধী ধরা পড়বে বলে দাবি করেছেন তিনি।
Advertisement



