দিল্লি দাঙ্গার চার্জশিটে খুরশিদ ও বৃন্দার নাম

প্ররােচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযােগে দিলি দাঙ্গার চার্জশিটে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ ও সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Written by SNS New Delhi | September 25, 2020 6:15 pm

সলমন খুরশিদ ও বৃন্দা কারাত (

প্ররােচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযােগে দিলি দাঙ্গার চার্জশিটে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ ও সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সিএএ বিরােধী আন্দোলনে হাজির হয়ে উমর খালেদ, সলমন খুরশিদ, নাদিম খান প্ররােচনামূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাদের বক্তব্যের জেরে সিএএ ও এনআরসি বিরােধী আন্দোলন দুঃসাহসিক হয়ে উঠেছিল।

দিল্লি পুলিশ দাঙ্গার ঘটনায় সতেরাে হজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে। সলমন খুরশিদ ও সিপিএম পলিটব্যুরাে সদস্য বৃন্দা কারাত সহ সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, যােগেন্দ্র যাদব ও অধ্যাপিকা জয়ী ঘােষ সহ একাধিক বুদ্ধিজীবীর নাম রয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য, চার্জশিটে উল্লেখিত নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের প্ররোচনামুলক বক্তব্যের জোরে প্রতিবাদ আন্দোলন জোরদার হয়েছিল। যদিও সলমন খুরশিদের কোনও বক্তব্যটি প্ররােচনামুলক তা নির্দিষ্ট করে বলেনি। ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে উমর খালেদকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তরয়ে জানানাে হয়েছে, উমর খালেদ দিল্লি হিংসার অন্যতম সড়যন্ত্রকারী।

দিলি দাঙ্গার চার্জশিটে নাম রয়েছে শুনে সলমন খুরশিদ বলেন, নোংরা সংগ্রহ করলে এমনিতেই নিজের গা নােংরা লাগবে। আমি জানতে আগ্রহী যে আমার কোন বক্তব্যটি প্ররােচনামুলক ছিল। যা বলা হচ্ছে তা দুঃখজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা ভুল বালেননি যে আমি প্ররােচনামুলক বক্তব্য দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ কি কোনও পদক্ষেপ নিয়েছিল? তারা কোনও পদক্ষেপ না নিলে এই বক্তব্যের কি মুল্য রইল।

কংগ্রেসের তরফে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিল্লি পুলিশকে বিরােধীদের ওপর বুলডোজার চলাতে নির্দেশ দিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে দিল্লি পুলিশ বিজেপি তথা আরএসএসের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়াল বলেন, ‘মনােজ তিওয়ারি, অনুরাগ ঠাকুরদের মতাে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা প্রকাশ্যে কিভাবে হিংসা ছড়িয়ে ছিলেন। তা সকলে দেখেছেন। এমনকি, প্রকাশ্যে গােলি মারাে সালােকো বলেছিলেন, তারপরও চার্জশিটে এদের নাম নেই। এর থেকে বােঝা যায়, দিল্লি পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট।

সিএএ ও এনআরসি নিয়ে ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পূর্ব ও উত্তর দিল্ল। ঘরবাড়ি ভাঙচুর, দাঙ্গা, খুন, লুঠ, সংখ্যালঘুদের বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও হয়েছিল।