এসএফআইয়ের সঙ্গে বিরোধে পথে ধর্নায় বসলেন রাজ্যপাল

Written by SNS January 27, 2024 4:50 pm

তিরুবন্তপুরম, ২৭ জানুয়ারি– বাংলাকেও হার মানিয়েছে কেরলের ঘটনা৷ এসএফআইয়ের সঙ্গে বিরোধ, ধর্নায় বসেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান৷ তাঁকে গো ব্যাক বলে কালো পতাকা দেখানো প্রতিবাদী ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারি চান আরিফ৷ একই সঙ্গে তিনি নিজের ব্যক্তিগত সচিবকে অমিত শাহ বা নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করতে বলেন৷ এরপরই জানা যায়, কেন্দ্রের তরফে জেড প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে গিয়েছেন তিনি৷

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে৷ কোল্লামের নীলমেল এলাকা দিয়ে একটি আশ্রমের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান৷ সেই একই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এসএফআইয়ের মিছিল৷ তখনই রাজ্যপালকে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যানার প্রদর্শন করে৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে৷ কালো পতাকাও দেখায়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা তাদের বাধা দেয়৷ এই নিয়ে পুলিশ ও এসএফআই কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও বাধে৷ ওই অবস্থায় আটকে যায় রাজ্যপালের কনভয়৷

কনভয় আটকে যেতেই বিরক্ত হয়েই অভিনব পথ বেছে নেন রাজ্যপাল৷ প্রোটোকল ভেঙে রাস্তায় গাডি় থামিয়ে রাস্তার পাশেই অবস্থান বিক্ষোভে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ৷ তাঁর অভিযোগ, পুলিশ পুরো ব্যাপারটা দেখে নিষ্ক্রিয়৷ তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি৷ কিছুক্ষণ পরেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কেরলের রাজ্যপালকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে৷

রাজ্যের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এসএফআইয়ের অভিযোগ ছিল, তিনি বিজেপি এবং আরএসএস মনস্ক একাধিকজনকে কেরলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে বসাচ্ছেন৷ এতে রাজ্যের শিক্ষার পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছে৷ বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছে সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন৷

এমনিতে সিপিএম পরিচালিত কেরলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সংঘাত নতুন নয়৷ গত দু’বছর ধরে লাগাতার বিরোধে লিপ্ত রাজ্য ও রাজভবন৷ গত বৃহস্পতিবার তিরুবনন্তপুরমে কেরল বিধানসভায় বাজেট অধিবেশের সূচনাতেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷

রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান সাকুল্যে মিনিট দুই সেখানে ছিলেন৷ তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান৷ তবে দু’জনের কারও মুখেই তখন সৌজন্যে হাসি ছিল না৷ পরে রাজ্যপাল গড় গড় করে অধিবেশন কক্ষে গিয়ে ভাষণের কপির প্রথম ও শেষ প্যারার কয়েকটি লাইন পডে়ই বেরিয়ে যান৷