দিল্লি থাকবে কেজরিরই, সমীক্ষা

আর বাকি কিছুদিন, তারপরেই রাজধানীতে নির্বাচন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ধরাশায়ী করতে স্বভাবতই উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি।

Written by SNS New Delhi | February 5, 2020 3:54 pm

অরবিন্দ কেজরিওয়াল (File Photo: IANS)

আর বাকি কিছুদিন, তারপরেই রাজধানীতে নির্বাচন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ধরাশায়ী করতে স্বভাবতই উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। একদিকে, কেজরিওয়ালদের প্রচারে প্রাধান্য পাচ্ছে পরিষ্কার জল, আবহাওয়ার উন্নতি, শিক্ষা তাে অন্যদিকে বিজেপি প্রাধান্য দিচ্ছে শাহিন বাগকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথও দিল্লিতে প্রচারে এসে শাহিন বাগ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাতে কি চিড়ে ভিজবে? ভােটের আগের সমীক্ষা তাে সে কথা বলছে না।

‘টাইমস নাও’এর সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে। আপের দখলে যেতে চলেছে ৫৪-৬০টি আসন, আর বিজেপির কপালে জুটবে ১০-১২টি আসন। ভােট শতাংশ অনুযায়ী, আপ ৫২% ভােট পাচ্ছে, সেই তুলনায় বিজেপি পাচ্ছে ৩৪% ভােট। তবে আপাত নিরিখে আপের জয় হলেও গত বিধানসভা নির্বচনে নিরিখে আপের ২.৫ % ভােট কমছে এবং বিজেপির বাড়ছে ১.৭% ভােট। 

উল্লেখযােগ্যভাবে, এই একই সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে যদি রাজধানীতে লােকসভা নির্বাচন হয় তাহলে দিল্লির সাতটি লােকসভার মধ্যে সাতটিই পাবে বিজেপি। একেবারে যে ২০১৯ লােকসভা নির্বাচনের প্রতিফলন ঘটবে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, দিল্লি নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সেই বিজেপি এবং আপই। রাহুল-সানিয়ার কংগ্রেসের কোনও জায়গাই নেই সেখানে। সমীক্ষা বলছে, মূল খেলা এই দুই দলের মধ্যেই হচ্ছে তা পাক্কা, কংগ্রেস হয়তাে খুব বেশি হলে দু’টি আসন পেতে পারে এই নির্বাচনে।

প্রসঙ্গত, লােকসভা নির্বাচনে ৪৬% ভােট পেয়েছিল বিজেপি এবং ৩৮% ভােট জুটেছিল আম আদমির। পার্থক্য খুব বেশি না হলেও এখন লােকসভা নির্বাচন হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্তত ৭৫% ভােট পাবেন নরেন্দ্র মােদি। সেই পদের জন্য রাহুল গান্ধি পাবেন মাত্র ৮% ভােট।

যে শাহিন বাগ এবং সিএএ প্রতিবাদ নিয়ে দিল্লি সরগরম সেই নিয়েও সমীক্ষা করা হয়েছে তার তথ্য কিন্তু সরাসরি বিজেপিকেই ফায়দা দিচ্ছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৭১% মানুষ মনে করছেন সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা করেছে তা সঠিক এবং ৫২% মানুষের মতে শাহিন বাগের প্রতিবাদ সঠিক নয়। মাত্র ২৫% এই প্রতিবাদ সমর্থন করেছেন। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিল্লির ৭,৩২১ জনের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল।