• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন, ছত্তিশগড়ে উদ্ধার সাংবাদিকের দেহ

ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় স্থানীয় একটি নিউজ চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।

ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় স্থানীয় একটি নিউজ চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। বস্তারে ১২০ কোটি টাকার একটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ফাঁস করেন ওই সাংবাদিক। ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের বিরুদ্ধে সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ।

গত ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি করলেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। মুকেশের ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর দাদা যুগেশ চন্দ্রকর নিখোঁজ ডায়েরি করেন। দ্রুত পুলিশি তদন্ত শুরু করা হয়। সাংবাদিককে খুঁজে বের করার জন্য একটি দল গঠন করা হয়।

Advertisement

গত ৩ জানুয়ারি ছত্তনপাড়া এলাকার সুরেশ চন্দ্রকরের (ঠিকাদার) বাড়ির একটি জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নির্যাতিতার ভাই আমাদের জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করেছি। তাঁর শেষ অবস্থানটিও খুঁজে পেয়েছি। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে মুকেশের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করার পর ঘটনাস্থলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল। সাংবাদিকের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। ঠিকাদার চক্রের লোকজন-সহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুকেশের ভাই হেপাজতে রয়েছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা বর্তমানে পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিজাপুর পুলিশ মুকেশের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।

সরকারি কাজের টেন্ডার পাওয়ার জন্য বস্তারের ঠিকাদাররা মাঝেমধ্যেই অনৈতিক কাজ করে। এর আগেও বস্তার অঞ্চলে ঠিকাদারদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে সাংবাদিকদের।

Advertisement