• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

স্বাস্থ্যের কারণে উপরাষ্ট্রপতি পদে পদত্যাগ করলেন জগদীপ ধনখড়

ধনখড় প্রথম জীবনে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আচমকা পদত্যাগ করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এজন্য সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। চিঠিতে তিনি স্বাস্থ্যের কারণে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন।

যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে। আচমকা কেন তিনি পদত্যাগ করলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেড়েছে জল্পনা। কারণ সোমবারও তিনি রাজ্যসভার অধিবেশন পরিচালনা করেছিলেন। আর রাতে তিনি ইস্তফার কথা জানিয়েছেন। তবে সম্প্রতি ধনখড় বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত মার্চ মাসেই বুকে ব্যথা নিয়ে এইমস-এর ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি ছিলেন।

Advertisement

এদিন ধনখড় রাষ্ট্রপতিকে লেখা তাঁর পদত্যাগপত্রে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শেই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি তাঁর পদত্যাগপত্রে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। ধনখড় তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছেন। এই পদে থাকাকালীন দেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন লক্ষ্য করেছেন। ৭৪ বছর বয়সী ধনখড় জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছেন এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যোগদান করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ধনখড় প্রথম জীবনে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর প্রথমে রাজস্থানের হাইকোর্টে এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তিনি রাজনীতিতে আসেন ১৯৮৯ সালে। এইসময় তিনি জনতা দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই বছরে তিনি জনতা দলের টিকিটে রাজস্থানের ঝুনঝুনু লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হন। ২০০৩ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়। এরপর উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২২ সালের আগস্টে। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন মার্গারেট আলভা। তাঁকে ৩৪৬ ভোটে পরাজিত করে তিনি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

Advertisement