• facebook
  • twitter
Thursday, 24 April, 2025

কানাডার ভিসা বাতিলের নীতিতে বিপাকে ভারতীয়রা

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। কানাডা সরকার কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

খালিস্তানি ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বিবাদের পর ইতিমধ্যেই ক্ষমতা হারিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে কয়েকদিনের মধ্যেই। এতকিছুর পরেও ভারত-কানাডা সম্পর্কের কোন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এবার ভারতীয়দের ভিসা বাতিলে কড়া পদক্ষেপ করেছে সে দেশের প্রশাসন। সে দেশে কাজ এবং পড়াশোনারত কয়েক লক্ষ ভারতীয়,এর ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছেন। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির পর কানাডাতেও বিপাকে ভারতীয় অভিবাসীরা।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইতিমধ্যে ৩০০-র বেশি ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ব্রিটেনেও শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়। সম্প্রতি জার্মানিতে ফ্রেডরিখ মার্জের নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছে কট্টরপন্থীরা। নয়া ডানপন্থী সরকার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, শরণার্থী আইন, অভিবাসীদের সামাজিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে কঠোর নীতির কথা ঘোষণা করেছে।

এই আবহে গত ৩১ জানুয়ারি অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে কানাডাও। যার মধ্যে অন্যতম হল প্রশাসনের নির্দেশে সীমান্ত আধিকারিকদের অস্থায়ী আবাসিক ভিসা বাতিলের ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এর ফলে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে ওদেশে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় কর্মী এবং সে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে কানাডায় ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ২৭ হাজার।

২০২৩ সালে কানাডায় খুন হয়েছিলেন খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, এই খুনের পিছনে নয়াদিল্লির হাত রয়েছে। ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর বক্তব্যে অনড় ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। কানাডা সরকার কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন। কূটনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের আবহে সে বছরের অক্টোবরে ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে সরাতে বাধ্য হয় কানাডা সরকার। এবার কড়া অভিবাসী নীতি এনে ভারতীয়দের বিপাকে ফেলাই লক্ষ্য কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।