ওয়েটিং টিকিটে রিজার্ভেশন কামরায় সফর করলে এবার বড়সড় জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। রেল সূত্রে খবর, ১ মে থেকেই ভারতের দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে এই নিয়ম কড়াভাবে লাগু হয়েছে। অবশ্য ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কেটে সংরক্ষিত কামরায় যাতায়াত আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। এবার সেই নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
কোনও আপৎকালীন প্রয়োজনে ট্রেনে সফরের জন্য অনেকেই সংরক্ষণ না পেলে রিজার্ভেশন কামরায় উঠে পড়েন। ভরসা থাকে হাতের ওয়েটিং লিস্টের টিকিটটি। পরে অবৈধ উপায়ে কোনও ভাবে সিটের করেন তাঁরা। আর সিট না পেলে অন্য যাত্রীর আসনে বসে পড়ার অভিযোগ রয়েছে ওয়েটিং টিকিট থাকা যাত্রীদের বিরুদ্ধে। এর ফলে সমস্যায় পড়ছিলেন সংরক্ষিত টিকিট কাটা যাত্রীরা। সেই কারণেই ওয়েটিং টিকিট নিয়ে কড়াকড়ির পথে হাঁটতে শুরু করেছে রেল।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েটিং লিস্টের টিকিট নিয়ে দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় উঠতে পারবেন না অপেক্ষমান যাত্রীরা। তাঁদের চড়তে হবে অসংরক্ষিত বা জেনারেল কামরাতেই। অবশ্য রিজার্ভেশন চার্ট তৈরির পর অনলাইনে কাটা টিকিট ওয়েটিং লিস্টে থাকলে তা নিজে থেকেই বাতিল হয়ে যায়। কেবলমাত্র কাউন্টার থেকে কাটা টিকিট ওয়েটিং থাকলেও বাতিল হত না। এক শ্রেণির যাত্রী কাউন্টার থেকে কাটা ওয়েটিং টিকিট নিয়ে সংরক্ষিত কামরায় সফর করতেন। এবার সেই যাত্রীদের আটকাতেই এই ঘোষণা রেলের তরফে।
একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কোনও অপেক্ষমান যাত্রী রেলের সংরক্ষিত স্লিপার কিংবা এসি কামরায় উঠলে তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। ওই যাত্রীদের যথাক্রমে স্লিপার ও এসি কামরার ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কিংবা ৪৪০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এর সঙ্গে সেই কামরার আসন প্রতি ভাড়াও (পরবর্তী স্টেশন পর্যন্ত) যুক্ত হবে। ওয়েটিং টিকিটের যাত্রীরা অবশ্য নির্বিঘ্নে এক্সপ্রেস ট্রেনের সাধারণ কামরায় ভ্রমণ করতে পারবেন। এজন্য তাঁদের আলাদা করে কোনও টিকিট কাটার প্রয়োজন নেই।