বিনা প্ররোচনায় ভারতকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দিল্লিতে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা প্রধানরা। সূত্রের খবর, মূলত ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য এবং পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণের প্রেক্ষিতে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যায়নের জন্যই এই বৈঠক।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেও বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌ বাহিনীর প্রধান দীনেশ ত্রিপাঠী ও বায়ু সেনার প্রধান এপি সিং।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের তরফে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। লক্ষ্য ছিল রাজস্থান, গুজরাট এবং পাঞ্জাবের একাধিক জায়গা। জম্মু, পাঠানকোট এবং উদমপুরের সেনা ঘাঁটিও টার্গেট ছিল পাকিস্তানের। ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত পাল্টা জবাব দেয়।
বুধবার ভোররাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় ২৪টি মিসাইল হামলা চালায় ভার। মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযানে অন্তত ৭০ জন জঙ্গি নিহত ও আরও ৬০ জন আহত হয়। এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান এলোমেলো এবং নির্বিচারে গোলাবর্ষণ শুরু করে সীমান্তে। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরে অন্তত ১৬ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
