• facebook
  • twitter
Monday, 16 June, 2025

‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের ভারতে থাকার আবেদন খারিজ করে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

মামলাকারীর প্রাণের ঝুঁকি সংক্রান্ত আর্জিও টেকেনি আদালতে। ওই ব্যক্তি নিজের দেশে ফিরে গেলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা শুনে বিচারপতি দত্ত বলেন, “তা হলে অন্য কোনও দেশে যান!”

প্রতীকী চিত্র

ভারতে আগত উদ্বাস্তুদের নিয়ে এবার খড়গহস্ত হল শীর্ষ আদালত। শ্রীলঙ্কার তামিল নাগরিককে আটক করার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে ওঠা একটি মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই আদালতের সাফ জবাব, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। গোটা বিশ্বের উদ্বাস্তুদের এখানে আশ্রয় দেওয়া যায় না। সোমবার মামলাটির শুনানির সময় একথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ।

জানা গিয়েছে, এই মামলার ক্ষেত্রে আবেদনকারী শ্রীলঙ্কার একজন তামিল নাগরিক। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ মামলায় অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্ট এর আগে জানিয়েছিল, সাত বছরের কারাদণ্ড শেষ হওয়ার পরে অভিযুক্তকে অবিলম্বে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শ্রীলঙ্কার ওই নাগরিক। তাঁর আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্ত ভিসা নিয়েই এ দেশে এসেছিলেন। নিজের দেশে তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু মামলাকারীর প্রাণের ঝুঁকি সংক্রান্ত আর্জিও টেকেনি আদালতে। ওই ব্যক্তি নিজের দেশে ফিরে গেলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা শুনে বিচারপতি দত্ত বলেন, “তা হলে অন্য কোনও দেশে যান!”

এ ব্যাপারে আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ এই খবর সামনে এনেছে। এদিন বিচারপতি দত্ত বলেন, “ভারত কি গোটা বিশ্বের উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে? আমাদের নিজেদেরই ১৪০ কোটি (জনসংখ্যা) রয়েছে। এটা কোনও ধর্মশালা নয় যে আমরা গোটা বিশ্বের নাগরিকদের জন্য ব্যবস্থা করব।”

প্রসঙ্গত অভিযুক্ত শ্রীলঙ্কার নাগরিক যে প্রায় তিন বছর ধরে আটক রয়েছেন, সে কথা তুলে ধরেন আইনজীবী। বিচারপতি দত্ত জানতে চান, ওই ব্যক্তির ভারতে বসবাসের কী অধিকার রয়েছে? মামলাকারীর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল একজন উদ্বাস্তু ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানরাও ভারতে বসবাস করেন। তবে সেই যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি আদালত। বিচারপতি দত্ত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যাঁরা এ দেশের নাগরিক, সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে একমাত্র তাঁদেরই ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের মৌলিক অধিকার রয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ভারত থেকে বিতাড়ন ঠেকাতে একটি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলাটিতেও কোনও হস্তক্ষেপ করতে চায়নি শীর্ষ আদালত।