ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত: চিনের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ম্যাপ চাইবে ভারত

গালওয়ান থেকে চিনা সেনা পিছিয়ে যাওয়ার পর এবার চিনের কাছে এই অঞ্চলে তাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মানচিত্র চাইতে চলেছে ভারত।

Written by SNS New Delhi | July 15, 2020 9:13 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: AFP)

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পরে এখন সীমান্ত নিয়ে আরও সতর্ক থাকছে ভারত। গালওয়ান থেকে চিনা সেনা পিছিয়ে যাওয়ার পর এবার চিনের কাছে এই অঞ্চলে তাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মানচিত্র চাইতে চলেছে ভারত। দু-দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কোনও সমস্যা এড়াতে এই পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারত।

গালওয়ানের মতো ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে চিনের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মানচিত্রের আদান-প্রদান চাইছে ভারত। এই বিষয়ে বেজিং-এর সঙ্গে নয়াদিল্লি কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে। গালওয়ান থেকে চিনের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ভারতীয় সেনা তাদের পুরনো পেট্রোলিং পয়েন্টে ফিরে গিয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারত ও চিন দুই দেশই তাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মানচিত্র বিনিময় করুক বলে চাইছে ভারত। এর ফলে দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে আর কোনও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে সীমান্তে দুই দেশের প্রহরারত নিরাপত্তা বাহিনীর কাজও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এতদিন পর্যন্ত চিন এই সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মানচিত্র প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির প্রস্তাব তারা গ্রহণ করে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। চিনেও হতাহত মিলিয়ে সংখ্যাটা ৪৫ বলে সূত্রের খবর। দুই বাহিনী কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করলেও পাথর, রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। তারপর দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।

তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মানচিত্র ভারতের সঙ্গে বিনিময় করতে এতদিন পর্যন্ত অস্বীকার করেছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মানচিত্র বিনিময় করতে না চেয়ে চিনের মনোভাব তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ বাড়িয়েছে।

এদিকে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এই প্রথম সেন্ট্রাল টিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে তিব্বতের উন্নতির জন্য এক মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করল। এই প্রথম নির্বাসনে থাকা তিব্বত সরকার আমেরিকার থেকে অর্থ সাহায্য পেল।