ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে চিনে টাকা পাঠানোর অভিযোগে মঙ্গলবার আয়কর দফতরের কর্তারা গ্রেফতার করেছিলেন লুও স্যাংকে। সেই তদন্তই অন্যদিকে মোড় নিল। আয়কর কর্তারা জানতে পেরেছেন, দিল্লিতে বসবাসকারী তিব্বতিদের থেকে দলাই লামা’র তথ্য জোগাড় করার জন্য অপারেশন চালাচ্ছিল এই চিনা যুবক। দিল্লির মঞ্জু কা টিলা এলাকায় কয়েকশ তিব্বতি পরিবারের বাস। অনেক পরিবারের সঙ্গেই দলাই লামার প্রত্যক্ষ যোগাযোগও রয়েছে।
সূত্রের খবর, বেজিংয়ের চক্ষুশূল দলাই লামা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছিল লুও। যদিও নাম বদলে সে দিল্লিতে চার্লি পেং নামে কাজ করত। গ্রেফতার করার পর তার আসল নাম সামনে আনেন তদন্তকারীরা। আয়কর কর্তারা জানতে পেরেছেন, হাওয়ালার মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি চিনে পাচার করেছে লুও।
জাল কাগজপত্র করে ভারতে ৪০ টির মতো ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলেছিল সে। সবকটি একাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার করত চিনের এই যুবক। আয়কর দফতরের আতস কাচের নিচে রয়েছেন দিল্লির এক চাটার্ড একাউন্টান্টও।
হাওয়ালায় জড়িত চিনা যুকবকে তিনিই সমস্ত সাহায্য করতেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান। দু-একদিনের মধ্যে তাকেও জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ২০০৮ সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়। জানা গিয়েছে ২০১৪ সালে নেপাল হয়ে বে-আইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল লুও। তারপর শিলংয়ের এক মহিলাকে বিয়ে করে সে।