সাহসী বিচারপতি লোয়ার কথা মনে পড়ছে, তিনি বদলি হননি, ট্যুইট রাহুলের

গত বুধবার দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর।

Written by SNS New Delhi | February 28, 2020 12:40 pm

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। (Image:Twitter/@neljp)

গত বুধবার দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। এদিন তাঁকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে এই প্রসঙ্গে প্রয়াত বিচারপতি বি এইচ লােয়ার নাম উল্লেখ করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ভুয়াে এনকাউন্টারের মামলা চলার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল।

রাহুল টুইটারে লিখেছেন, আমার এখন বিচারপতি লােয়ার কথা মনে পড়ছে। তাঁকে বদলি করা হয়নি।

বিচারপতি মুরলীধরকে বদলি করার বিরুদ্ধে এদিন সকাল থেকেই সমালােচনা শুরু হয়েছে। দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে তিনি কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেছিলেন।

বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, প্রকাশ ভর্মা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ব্যাপারে বুধবার নির্দেশ দেয় বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি তালওয়ান্ত সিংকে নিয়ে গঠিত দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ।

তাঁরা এও জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। পরে সন্ধ্যায় বদলির নােটিফিকেশন জারি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দেখা শুরু হয়েছে। তবে ঘটনা হল, মুরলীধরকে পাঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করার ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কলেজিয়াম।

গত ফেব্রুয়ারি কলেজিয়ামের সেই সুপারিশের পর দিল্লি হাইকোর্টের বার অ্যাসােসিয়েশনের সদস্যরা তীব্র আপত্তি করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, মুরলীধর একজন নিষ্ঠাবান বিচারপতি। তাঁকে কোনও কারণ ছাড়া যেভাবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করার চেষ্টা হচ্ছে তাতে বিচারব্যবস্থার মধ্যে নেতিবাচক বার্তা যাবে। এমনকী বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালনের হুমকিও দিয়েছিলেন বার অ্যাসােসিয়েশনের সদস্যরা।

কিন্তু তার পরেও কলেজিয়ামের সেই সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতি শিলমােহর দেন ও বুধবার সন্ধ্যায় সরকার নােটিফিকেশন জারি করে দেয়। অর্থাৎ বুধবারের শুনানির জন্যই যে বিচারপতি মুরলীধরকে রাতারাতি বদলি করা হল এমন নয়। তাঁকে বদলির সিদ্ধান্ত আগেই গৃহীত হয়েছিল। তবে হ্যা, বিরােধী শিবিরের অনেকের মতে হাইকোর্টের এই বিচারপতির অনেক পর্যবেক্ষণ ও রায়ে খুশি নন শাসক শিবির। সে কারণেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে।

দিল্লির হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন আমলা হর্ষ মান্দার। বুধবার সেই মামলার শুনানির সময় বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বক্তব্যের রেকর্ড বাজিয়ে শােনাতে বলেছিলেন বিচারপতি মুরলীধর। রবিবার অশান্তি শুরু হওয়ার ঠিক আগে কপিল মিশ্র উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যে বক্তৃতা করেছিলেন, আদালতে তা বুধবার শােনানাে হয়।