ভারী বৃষ্টির জেরে বিপত্তি হিমাচল প্রদেশে। চম্বায় ধস নামায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কুলু এবং রামপুরে হড়পা বান নেমে আসে। প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বেশ কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গিয়েছেন অনেকে। ২৮ মে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কয়েকটি জেলায় ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছে কুলু এবং রামপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। তার জেরেই হড়পা বান নেমে আসে। কুলুর নির্মন্দের জগৎখানার কাছে প্রায় ২০-২৫টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলের তোড়ে ভেসে যায় একাধিক গাড়ি। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট নির্মন্দ মনমোহন সিং জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই। তবে কমপক্ষে ২৫টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাহাড় থেকে ধস নেমে রামপুর এবং কিন্নৌরের মধ্যবর্তী ঝাকরিতে হিন্দুস্তান-তিব্বত সড়ক, জাতীয় মহাসড়ক-৫ বন্ধ হয়ে যায়। ভারী বৃষ্টিতে শতদ্রু নদীর জল বিপদসীমা পার করেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হিমাচলের ১২টি জেলাতেই। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২৮ মে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া চলবে সিরমৌর, সোলান, সিমলা, মণ্ডী, কুলু, কাংড়া এবং চম্বা জেলায়। প্রসঙ্গত ১৬ বছর পর নির্ধারিত সময়ের ৮ দিন আগে কেরলে পা রেখেছে বর্ষা। তার জেরেই প্রবল বৃষ্টি চলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।