মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হিমাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ধস নেমেছে বিভিন্ন জায়গায়। বৃষ্টি ও ধসের কারণে বন্ধ ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। পাশাপাশি রাজ্যের ১৭১টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পর্যটকরা আটকে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ১৫–২০ জন হরপা বানে ভেসে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবারও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবারও রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তারপর থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। শিমলা, কাংড়া, মন্ডী, চম্বা ও সিরমৌর জেলায় হড়পা বানের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বুধবার কুল্লু জেলার তিন জায়গায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। এর জেরে হড়পা বান নেমে আসে। কাংড়াতেও মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কাংড়া খানিয়ারার মানুনি খাদে জলস্তর বৃদ্ধির কারণে ভেসে গিয়েছেন ১৫-২০ জন শ্রমিক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুই জন জম্মু ও কাশ্মীর ও দুই জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। হরনাগড়ের বাঞ্জারে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। বাঞ্জার-বাথাহার রাস্তায় নেমেছে ধস। দুর্যোগের কারণে ব্যাহত বিমান পরিষেবা। আচমকা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা।
কুলুর সৈঞ্জ উপত্যকার শানশার, শানগড় এবং সুচাইহানে আটকে আছেন প্রায় ২০০০ পর্যটক। লাহুলেও কয়েকজন আটকে রয়েছে বলে খবর। হড়পা বানের কারণে সৈঞ্জের জীবানালা, মানালির স্নো গ্যালারি, হরনাগড়, গাডসার শিলাগড়, ধর্মশালার খনিয়ারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন। কুল্লু জেলার রেহলা বিহালে বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র সরাতে গিয়ে বন্যায় ভেসে গিয়েছেন তিন জন। তাঁরা এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।