অবিরাম বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত পর্যটন রাজ্য হিমাচল প্রদেশে। প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের প্রায় ৩৩৮টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ৪৮৮টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় বহু জায়গা অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে হিমাচল প্রদেশের শিমালায় একটি নির্মীয়মাণ টালেনে কাজ চলার সময় ধস নামে । এই ঘটনায় এখনো কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভয়ে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন ।
শিমলার সানজাউলি এলাকায় একটি চারলেন টানেল তৈরির কাজ চলছে। সেই টানেলের কালকা-সিমলার জাতীয় সড়কের চলন্তি এলাকার দিকে টানেলের মুখে ধস নামে। কাজ করার সময় শ্রমিকরা টানেলের পাশে মাটি ও পাথর পড়ে থাকতে দেখেন। তা দেখেই সব শ্রমিক ও মেশিনগুলোকে বাইরে আনা সম্ভব হয়।
Advertisement
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবরে, নাগাড়ে বৃষ্টিতে উনা এলাকায় ২ জন নিখোঁজ। হিমাচলের বহু জায়গায় ধস নামে। তাতে চারটি জাতীয় সড়ক সহ ৩৩৮টি রাস্তায় যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সিমলা, মান্ডি, কুলু এবং চাম্বা জেলায় বেশি ক্ষতির খবর মিলেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ছাড়াও পানীয় জল সরবরাহেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সিমলার আবহাওয়া দফতর আজ থেকে ১৮ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। ফলে আরও বৃষ্টি হলে কী পরিস্থিতি হতে পারে তা আঁচ করে রাজ্য প্রশাসন আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
Advertisement
আগামী দুদিন সিমলা, সোলান ও কাংরা উপত্যকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বহু জায়গায় ধস নেমে পথঘাট জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়ক তোড়ে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত। এক জায়গার ৫০০ মিটার অংশ চার ফুট নীচে বিপাশার জলের দিকে ধসে গিয়েছে।
রাজ্য আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা কেন্দ্র জানিয়েছে, সিমলার ১০৪টি রাস্তা, ৭১টি মান্ডির, ৫৮টি সিরমৌর, ৫৫টি চাম্বা, ২৬ কুলু এবং সোলান এবং লাহুল-স্পিতিতে ৭টি করে, কাংরার ৪ এবং বিলাসপুরের একটি রাস্তা বন্ধ থাকে। চাম্বা, মান্ডি, কিন্নৌর, সিমলা এবং সোলান জেলার বহু জায়গায় হড়পা বান ও ধস নেমেছে, যার বিস্তারিত খবর এখনও এসে পৌঁছায়নি।
Advertisement



