পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে উত্তর প্রদেশ থেকে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল সে রাজ্যের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। ধৃত যুবকের নাম শাহজাদ। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযোগ, শাহজাদ পাকিস্তানে গোপন তথ্য পাঠাতেন। এমনকী সীমান্ত পার করে পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। এটিএস বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্তের সুরক্ষা নিয়ে গোপন তথ্য পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের কাছে পাচার করছিল শাহজাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে শাহজাদের উপর নজর রাখা হচ্ছিল। শনিবার তাঁকে মোরাদাবাদ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার বাসিন্দা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য তুলে দিতেন শাহজাদ। তিনি ভারতের টাকা ও সিম কার্ড জোগাড় করে দিতেন আইএসআই এজেন্টদের। শাহজাদের বিরুদ্ধে ১৪৮ ও ১৫২ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, শাহজাদ একাধিকবার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছেন। সেখানে অবৈধভাবে প্রসাধনী, পোশাক, মশলা ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই এই চোরাচালান করতেন শাহজাদ। এখানেই শেষ নয়, রামপুর-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে চোরাচালানের অজুহাতে পাকিস্তানে পাঠানোর বন্দোবস্ত করতেন। তাঁরাই পরে আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হত। পাকিস্তানের এজেন্টদের অর্থ সরবরাহ করতেন শাহজাদ।
পহেলগামে ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার পর দেশজুড়ে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ‘দেশদ্রোহী’ ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। ২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে তাঁর আলাপ। দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে গুপ্তচরবৃত্তির আড়ালে ভারত থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।