ওড়িশায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ আসামির ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কন্ধমাল জেলার এক আদালত। এর পাশাপাশি প্রত্যেকের ২৬ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এই টাকা না দিতে পারলে অতিরিক্ত পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রকে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতাকে ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। প্রসঙ্গত, নাবালিকার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণ এবং ডাকাতির ঘটনায় ওই পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আদামিদের বয়স ২৪-৪৭ বছরের মধ্যে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ২০২৪ সালের। গত বছরের এপ্রিল মাসে ওই নাবালিকার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে ওই পাঁচজন বাড়িতে ঢোকে। এরপর পিস্তল এবং ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে সোনার গয়না এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকাকে অপহরণ করে একটি একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, সেখানেই ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।
Advertisement
অপকর্মের পর অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেককেই পাকড়াও করে পুলিশ। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই ওড়িশার দারিংবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এরপর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। ওড়িশার কন্ধমাল জেলার ফুলবনির এক ফাস্ট ট্র্যাক আদালত মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। অবশেষে পাঁচজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। মামলার সরকারি আইনজীবী বনমালী বেহরা জানিয়েছেন, পাঁচ আসামির ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।
Advertisement
Advertisement



