ওড়িশা খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, পাবলিক ডিসট্রিবিউশন সিস্টেমকে (পিডিএস) আরও প্রসারিত করার লক্ষ্যে এই ধরনের এটিএম চালু করা হয়েছে। এই এটিএমে একটি টাচস্ক্রিন থাকবে। সেখানে রেশন কার্ড নম্বর বসাতে হবে। রেশন কার্ডের নম্বর বসাতেই বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন চাইবে। তখন নিজের আঙুল ওই জায়গায় দিতে হবে। বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন হওয়ার পর পরিমাণ মতো চাল বেরিয়ে আসবে ওই এটিএম থেকে। গ্রাহকেরা ২৫ কেজি পর্যন্ত চাল পাবেন এই এটিএম থেকে।
শস্য এটিএমের উদ্বোধনের সময় মন্ত্র জানিয়েছেন, সমস্ত জেলা সদরে এই এটিএম বসানো হবে। মন্ত্রীর কথায়, “বর্তমানে ৫০ লাখেরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে। সেই সব কার্ডহোল্ডারকে চিহ্নিত করে গ্রাহকতালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে।শুধু তা-ই নয়, রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, সেই দুর্নীতিও ঠেকানো যাবে বলে তাঁর ধারণা । নতুন গ্রাহকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার কাজও চলবে পাশাপাশি। এই কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের ৩০টি জেলায় ধীরে ধীরে এই এটিএম বসানো হবে। এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প অনুযায়ী তার পর অন্য রাজ্যেও এই এটিএম বসানো হবে।
Advertisement
নতুন এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু হলে রেশন দোকানের দীর্ঘ লাইনের ছবিটাও বদলাবে মনে করছেন অনেকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন তোলার পরিবর্তে এই ধরনের এটিএম থেকে রেশন তোলা অনেক সহজ হবে। সময়ও বাঁচবে।
Advertisement
Advertisement



