অমিতাভের বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপি নেতার

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযােগে মঙ্গলবার অমিতাভের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক অভিমন্যু পওয়ার।

Written by SNS Mumbai | November 4, 2020 1:24 pm

অমিতাভ বচ্চন (Photo: IANS)

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযােগে মঙ্গলবার অমিতাভের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক অভিমন্যু পওয়ার। 

অভিমন্যুর দাবি, টেলিভিশনে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শােয়ের ১ টি পর্বে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের অপমান করার চেষ্টা করেছেন অমিতাভ। সেই সঙ্গে হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির করারও চেষ্টা করা হয়েছে অমিতাভ ছাড়াও ওই শােয়ের নির্মাতা সােনি এন্টারটেনমেন্ট টেলিভিশন-এর বিরুদ্ধেও নালিশ ঠুকেছেন অভিমন্যু। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরােধ করেছেন ওই বিজেপি বিধায়ক।

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ (কেবিসি)-র দ্বাদশ সিজনের কর্মবীর স্পেশাল এপিসােড ঘিরেই যাবতীয় আপত্তি তুলেছেন লাতুর জেলার ঔসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অভিমন্যু। লাতুরের পুলিশ সুপার নিখিল পিঙ্গলের কাছে ২ পাতার দীর্ঘ অভিযােগপত্র জমা দিয়েছেন যেখানে অমিতাভের বিরুদ্ধে তিনি লিখেছেন, হিন্দুদের অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। হিন্দু এবং বৌদ্ধরা, যাঁরা শান্তিতে সহাবস্থান করছেন, তাঁদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করারও চেষ্টা চলেছে।

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র ওই স্পেশাল এপিসােডের ১ টি প্রশ্ন ঘিরেই আপত্তি তুলেছেন অভিমন্যু। ওই এপিসােডে বিশেষ অতিথি হিসাবে এসেছিলেন সমাজকর্মী বেজওয়াড়া উইলসন এবং অভিনেতা অনুপ সােনি। তাঁদের প্রতি অমিতাভের প্রশ্ন ছিল ১৯২৭-এর ২৫ ডিসেম্বর বি আর অম্বেডকর এবং তাঁর অনুগামীরা কোন গ্রন্থ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন? ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পুরস্কার মূল্যের ওই প্রশ্নের উত্তরে ৪ টে অপশন ছিল- এ) বিষ্ণুপুরাণ, বি) ভগবত গীতা, সি) ঋকবেদ এবং ডি) মনুস্মৃতি।

ওই অপশনের উত্তর না পেয়ে এর পর অমিতাভ বলেন, ১৯২৭ সালে প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থ মনুস্মৃতির নিন্দা করেছিলেন অম্বেডকর। যা আদর্শগত ভাবে বর্ণবৈষম্য ও অস্পৃশ্যতাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করে। এবং তিনি মনুস্মৃতির অনুলিপি পুড়িয়েছিলেন। অমিতাভের ওই ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের ওই বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, ৪ টে অপশনই হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত।

এটা স্পষ্ট যে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়াই ওই প্রশ্নের আসল উদ্দেশ্য। এদিন অভিমন্যু আরও বলেন, এই প্রশ্নের মাধ্যমে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে যেন হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলি পুড়িয়ে ফেলাই উচিত এবং হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে শত্রুতার মনােভাব সৃষ্টি করাই তার আসল উদ্দেশ্য।