যোগী প্রশাসন জানিয়েছিল মৌনী অমাবস্যায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০, আর আহত হয়েছেন ৬০। কিন্তু প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম করে বলেছে যোগী প্রশাসন। এখনও বহু মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিহার, ওড়িশা, তামিলনাড়ু থেকে আসা পুণ্যার্থীরা থানার দরজায় দরজায় ঘুরছেন প্রিয়জনদের ছবি নিয়ে। মর্গে মর্গে মানুষের ভিড়। হাসপাতালেও খোঁজ চলছে পুরোদমে। প্রিয়জনরা আদৌ বেঁচে আছেন কিনা তার সদুত্তর দিতে পারছে না কেউই।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মহাকুম্ভে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অমৃত স্নান শুরু হয়েছিল। মৌনী অমাবস্যার ‘অমৃতস্নান’ উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ৩০ জন তীর্থযাত্রীর। আহত হয়েছিলেন ৬০ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুধবার রাত্রি দুটো নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে ভেঙে যায় ব্যারিকেড। তাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এমনিতেই সরকারি যে তালিকা পাওয়া গেছে, সেই তালিকায় হতাহতের বাইরেও বহু মানুষ নিখোঁজ। কোনো জায়গা থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পূণ্যার্থীরা কী করবেন, কার কাছে যাবেন, সেই নিয়েও রয়েছে ধন্দ। এই পরিস্থিতিতে যোগী প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের থাকা খাওয়ার টাকাও ফুরিয়ে গিয়েছে। নিখোঁজ প্রিয়জনকে নিয়ে তাঁরা ফিরতে পারবেন কিনা, সেটাই তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।
Advertisement
এই চূড়ান্ত অব্যবস্থায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের স্তুতিতে পঞ্চমুখ হলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। রবিবার সস্ত্রীক কুম্ভস্নান সারলেন তিনি। কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে ধনখড়ের বক্তব্য, দুর্ঘটনা কারও হাতে থাকে না, ঘটে যায়। কিন্তু কত তাড়াতাড়ি সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সেটাই বড় কথা। আর কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার পর যেভাবে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন পরিস্থিতি সামলেছে, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি।
Advertisement



