দিল্লি পুলিশকে ৬ বার সতর্কবার্তা পাঠায় গোয়েন্দারা, বাড়াতে বলা হয় নিরাপত্তা

গত রবিবার ৬টি সতর্কবার্তা পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ঝামেলা হতে পারে আঁচ করতে পেরে স্থানীয় পুলিশকে নজরদারি বাড়ানাের কথা বলেছি গােয়েন্দা দফতর।

Written by SNS New Delhi | February 28, 2020 1:16 pm

গত রবিবার ৬টি সতর্কবার্তা পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুরে জমায়েতের ডাক দেওয়ার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মােতায়েনের জন্য বলা হয়েছিল। সেই সন্ধেতেই গণ্ডগােল শুরু হয়, যা তার পরেরদিন ভয়াবহ হিংসার আকার নেয়। সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়া আটকাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

সূত্রের দাবি, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ ও গােয়েন্দা বিভাগ বারবার রেডিয়াে মেসেজে উত্তর-পূর্ব দিল্লি প্রশাসন ও পুলিশকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। দুপুরেই টুইট কবে সিএএ সমর্থনে বিকেলে মৌজপুর চকে জমায়েতের ডাক দিয়েছিলেন কপিল মিশ্র। এই ট্যুইটের ঠিক পরেই প্রথম সতর্কবার্তাটি পাঠিয়ে অতিরিক্ত বাহিনী মােতায়েনর কথা বলা হয় দিল্লি পুলিশকে।

ঝামেলা হতে পারে আঁচ করতে পেরে স্থানীয় পুলিশকে নজরদারি বাড়ানাের কথা বলেছি গােয়েন্দা দফতর। এরপর পাথর ছােড়ার ঘটনা শুরু হলে ফের সতর্কবার্তা পাঠানাে হয় বলে দাবি সুত্রের। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মিশ্র যাতে তাড়াতাড়ি ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তার জন্য এক শীর্ষ অফিসার তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু সিএএ-বিরােধীরা তার সমর্থকদের লক্ষ করে পাথর ছুড়তে থাকে। পালটা জবাব দেয় আক্রান্তরা। যদিও খুব কম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে বাস্তবে যে তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি বােঝা যায় সােমবার। রবিবার জাফরাবাদে পুলিশকে আলটিমেটাম দিয়ে কপিল বলেছিলেন, তিনদিনের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের অবরােধ সরিয়ে দিতে হবে। সেই মন্তব্যের ভিডিয়াে ছড়িয়ে পড়ার পরই আগুনে ঘি পড়ে বলে অনেকের মত। হিংসার ঘটনায় পরপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে রাজধানীতে। আহত হন ২০০রও বেশি মানুষ।