গভীর রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় জয়পুর-আজমেঢ় জাতীয় সড়কে। মঙ্গলবার রাতে একটি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকের ধাক্কা লাগে। এরপর বিস্ফোরণের জেরে জাতীয় সড়কে ৭টি গাড়ি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায়। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূর থেক দেখা গিয়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। যা নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় ট্যাঙ্কারের চালক-সহ দু’-তিনজন আহত হয়েছেন। তবে ট্রাকের চালক ও খালাসিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় সড়কের উপর সিলিন্ডার বোঝাই ওই ট্রাকটি ভুল জায়গায় পার্ক করে চালক রাস্তার পাশে একটি দোকানে খেতে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
সেই সময় পিছন থেকে একটি তেলের ট্যাঙ্কার তাতে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের জেরে আগুন ধরে যায় ট্রাকটিতে। মুহূর্তের মধ্যে তা ভয়াবহ আকার নেয়। ট্রাকে সিলিন্ডার থাকার জন্য পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ধরে যায় আশেপাশের ৭টি গাড়িতে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বিভাগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক।
Advertisement
জয়পুরের আইজি রাহুল প্রকাশ জানিয়েছেন, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি। জয়পুর-১ এর সিএমএইচও রবি শেখাওয়াত জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। অন্য দিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার নির্দেশে ঘটনাস্থলে যান উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেমচাঁদ বৈরওয়া। তিনি জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাকের চালক পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি ট্যাঙ্কার। ট্রাকচালক সে সময় খাবার খেতে গিয়েছিলেন। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারদিক। বিস্ফোরণের অভিঘাত এমনই ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছিল। বিস্ফোরণের পর কিছু সিলিন্ডার কয়েক মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। কিছু ক্ষণ পর এলাকায় পৌঁছোয় পুলিশ ও দমকলবাহিনী। সাময়িক ভাবে হাইওয়েতে যানচলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত বলে মনে করছেন অনেকেই। ১০ মাস আগে এই অঞ্চলে এমনই এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছিল। সেবার এই জাতীয় সড়কে একটি গ্যাস ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের।
Advertisement



